বাবুল হক, মালদহ: আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের পর মালদহ। এবার গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে কাঠগড়ায় সিভিক ভলান্টিয়ার। নির্যাতিতা মানিকচক থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ধৃত পঙ্কজ মণ্ডল। মালদহের মানিকচক থানার সিভিক ভলান্টিয়ার। সে মালদহের মানিকচকের ডোমহাটের ডালুটোলার বাসিন্দা। নির্যাতিতার দাবি, বেশ কয়েকদিন ধরে পেট ব্যথায় ভুগছিলেন। চিকিৎসককে দেখিয়েও তেমন সুফল পাচ্ছিলেন না। দৈব উপায়ে রোগমুক্তি হবে বলেই ভেবেছিলেন। সে কারণে ডালুটোলা এলাকার বাসিন্দা সিভিক ভলান্টিয়ারের বাড়িতে যান মহিলা। কারণ, তার মা ঝাড়ফুঁক করেন। সিভিক ভলান্টিয়ারের মা বাড়িতে ছিলেন না। অভিযোগ, সেই সুযোগে সিভিক ভলান্টিয়ার তাকে ধর্ষণ করে।
মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন বধূ। বাড়ি ফিরে কান্নাকাটি করতে থাকেন। এরপর পরিবারের লোকজনকে সিভিক ভলান্টিয়ারের কুকীর্তির কথা জানান। মানিকচক থানায় যান। সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেপ্তার করে। শুক্রবার মালদহ জেলা আদালতে পেশ করা হয় তাকে। তবে এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি অভিযুক্ত। উল্লেখ্য, গত বছরের ৯ আগস্ট, আর জি কর মেডিক্যাল হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে গ্রেপ্তার করে। পরে এই ঘটনার তদন্তভার নেয় সিবিআই। ঘটনার ১৬২ দিনের মাথায় চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি সঞ্জয়কে দোষী সাব্যস্ত করে শিয়ালদহ আদালত। তার ঠিক দুদিন পর ২০ জানুয়ারি, দোষী সিভিক ভলান্টিয়ারকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন বিচারক। এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে রাজ্যে আরও এক সিভিক ভলান্টিয়ারের 'কুকীর্তি' ফাঁস।