অর্ণব দাস, বারাসত: এসআইআরের বিরোধিতায় উত্তর ২৪ পরগনার ঠাকুরনগরের মতুয়া ঠাকুরবাড়িতে অনশন কর্মসূচি চলছে। এদিন ওই অনশন কর্মসূচি অষ্টম দিনে পড়ল। এদিন অনশনে শামিল হলেন তৃণমূল প্রভাবিত মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতি তথা তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর। জানিয়ে দিলেন, "এদিন থেকে আমার সমস্ত রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ। আমার কাছে মতুয়ারা সবার আগে। মতুয়ারা আছে বলেই আমি আছি। বিজেপি যদি চায় আমার জীবনের বিনিময়ে মতুয়ারা দেশে থাকতে পারবে, আমি রাজি। আমার জীবন তাহলে স্বার্থক হবে।"
এসআইআরের প্রতিবাদে মতুয়াদের একটা অংশ ঠাকুরবাড়িতেই অনশন করছেন। ২১ জন এই কর্মসূচিতে রয়েছেন। এখনও অবধি ছ'জন অনশন চলার সময় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তবে অনশন বন্ধ করেননি বলে খবর। যারা অনশন করছেন, তাঁদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে বলে খবর। প্রত্যেকেরই রক্তচাপ কমছে, শরীরে ডিহাইড্রেশনও দেখা দিচ্ছে। আগেই জানানো হয়েছিল, আজ বুধবার অনশনে শামিল হবেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর। প্রসঙ্গত, এসআইআরের বিরোধিতা করে নিঃশর্ত নাগরিকত্বের দাবিতে গত ৫ তারিখ থেকে ঠাকুরনগরের ঠাকুরবাড়িতে অনশন শুরু করেছে তৃণমূল প্রভাবিত মতুয়া মহাসঙ্ঘ। তখন রাজনৈতিক কাজে বাইরে থাকায় অনশনে যোগ দিতে পারেননি সঙ্ঘাধিপতি মমতাবালা ঠাকুর। ঠাকুরবাড়ি ফিরেই তিনি জানিয়েছিলেন, বুধবার থেকে অনশনে যোগ দেবেন।
এদিন দুপুর সাড়ে ১২টার সময় নিজের ঘর থেকে বেরিয়ে মমতাবালা প্রথমে আসেন নাট মন্দিরে। সেখানে হরিচাঁদ, গুরুচাঁদ ঠাকুরের মন্দিরে প্রণাম সেরে প্রয়াত স্বামী কপিলকৃষ্ণ ঠাকুরের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান তিনি। তারপর বড়মায়ের মন্দিরে প্রণাম করে তিনি যোগ দেন আমরণ অনশনে। মমতাবালা ঠাকুর বলেন, "আমাদের একটাই দাবি, এসআইআরের প্রক্রিয়া সরলীকরণ করতে হবে। মতুয়াদের নিঃশর্ত নাগরিকত্ব দিতে হবে। না হওয়া পর্যন্ত অনশন চলবে।" তিনি আরও বলেন, "যে মানুষ আতঙ্কে ছুটছে, খাওয়া ঘুম নেই, মৃত্যু হচ্ছে, সেই মানুষদের পাশে আমরা আছি। তাদের জন্যও আমাদের এই লড়াই।"
