সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আতঙ্ক এবং উদ্বেগের মধ্যেই বাংলা জুড়ে এসআইআর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন বিএলও-রা। এনুমারেশন ফর্ম দেওয়ার কাজ চলছে। এই আবহে ইতিমধ্যে রাজ্যে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য প্রশাসনকে মানুষের পাশে থাকার বার্তা দিলেন 'দিদি' মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নথি নিয়ে মানুষ যাতে আতঙ্কিত হয়ে আত্মহননের পথ বেছে না নেন, সেদিকে তাকিয়ে দ্রুত সমস্যা সমাধানের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
অক্টোবরের শুরুতে উত্তরবঙ্গের ভারী বৃষ্টি এবং বন্যায় প্রবল দুর্যোগের মধ্যে পড়তে হয় সেখানকার বহু মানুষকে। সবকিছু হারিয়ে রাতারাতি নিঃস্ব হয়ে পড়েন তাঁরা। এমনকী বন্যার জলে ভেসে গিয়েছে নথিও। এই অবস্থায় জেলা প্রশাসনের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা, ''নিরপেক্ষভাবে সবাইকে এসআইআর করতে সাহায্য করতে হবে।'' বিশেষ করে যাদের বন্যার জলে নথি হারিয়ে গিয়েছে তাঁদের 'আমার পাড়া আমার সমাধান' ক্যাম্প থেকে যাতে সাহায্য করা হয় সেই নির্দেশও দেন প্রশাসনিক প্রধান।
দুর্যোগ পরবর্তী পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকেই এসআইআর ইস্যুতে সুর চড়ান তিনি। SIR-এর নামে রাজ্যে ‘সুপার এমার্জেন্সি’র পরিস্থিতি তৈরি করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে তোপ দাগেন প্রশাসনিক প্রধান। একইসঙ্গে নথি নিয়ে মানুষের পাশে থাকার নির্দেশ দেন। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ''পঞ্চায়েত দপ্তর, পিডব্লুডি দপ্তর, ফায়ার দপ্তর, ডিএম, এসপি, জেলা পরিষদ পঞ্চায়েত দপ্তর সবাইকে বলব মানুষের পাশে থাকতে। নিরপেক্ষভাবে সবাইকে এসআইআর করতে সাহায্য করবেন।''
এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, আমার পাড়া আমার সমাধান ক্যাম্পের কার্যকাল বাড়ানো হয়েছে। যদি কোনও নথি বন্যায় হারিয়ে যায় কিংবা না থাকে তা যাতে খোঁজখবর করে বানিয়ে দেওয়া হয় ওই ক্যাম্প থেকে সেই নির্দেশ দেন প্রশাসনিক প্রধান। এক্ষেত্রে তাঁর স্পষ্ট বার্তা, ''কোনও লোককে যাতে আত্মহননের পথ বেছে নিতে না হয়। সবাই দেশের নাগরিক।'' কেউ যাতে বঞ্চিত না হন সেদিকেও নজর রাখার কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। অন্যদিকে সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যেও তাঁর বার্তা, ''চিন্তা করবেন না। কেউ হতাশ হবেন না।''
