shono
Advertisement

Weather Update: কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোও মাটি করবে বৃষ্টি? জেনে নিন কী বলছে হাওয়া অফিস

কলকাতায় বিসর্জনের কার্নিভালের দিন কেমন থাকবে আবহাওয়া?
Posted: 10:41 AM Oct 06, 2022Updated: 10:49 AM Oct 06, 2022

নব্যেন্দু হাজরা: চারদিনের পুজো শেষে ঘরে ফিরলেন উমা। কিন্তু বৃষ্টি এখনই শেষ হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস, বৃষ্টি চলবে আরও কয়েকদিন। শুক্রবার পর্যন্ত গোটা বাংলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস।

Advertisement

কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে দশমীর সকাল শুরু হয়েছিল ঝিরঝিরে বৃষ্টি দিয়ে। গোটা দিন ধরেই জায়গায় জায়গায় চলল বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি। তেমনই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি একাদশী পেরিয়ে দ্বাদশী পর্যন্ত চলবে। সঙ্গে থাকতে পারে বজ্রগর্ভ মেঘের ঘনঘটাও। যার উপর ভর করেই দফায় দফায় বৃষ্টি হতে পারে স্থানীয় এলাকায়। তবে কলকাতায় বিসর্জনের কার্নিভালের দিন ভারী বৃষ্টির খুব একটা সম্ভাবনা নেই। হলেও বিক্ষিপ্ত।

[আরও পড়ুন: প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় ডুয়ার্সের মাল নদীতে হড়পা বান, মৃত অন্তত ৮]

দুর্গাপুজো পেরিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে লক্ষ্মীপুজোর তোড়জোড়। রবিবার ধনদেবীর আরাধনায় মাতবে বাংলা। তার আগে বৃষ্টি কমার খুব একটা আশা নেই। উত্তরবঙ্গের পাঁচটি জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে সোমবার পর্যন্ত। ফলে লক্ষ্মীপুজোতেও ভাসবে উত্তরের পাঁচ জেলা। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারে বৃষ্টি হবে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত।
সেপ্টেম্বর পেরিয়ে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ চলছে। বাংলায় এখন আশ্বিন মাস। শরৎকাল। নিয়ম মেনে ১২ অক্টোবর কলকাতা থেকে বর্ষা বিদায় নেওয়ার কথা। তার আগে পর্যন্তই সে খেলা দেখাবে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা।

দশমীর দিন দফায় দফায় বৃষ্টি চলে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায়। সকাল থেকেই ছিল আকাশের মুখ ভার। ফলে ঝলমলে রোদের দেখা খুব একটা বেশি সময়ের জন্যও পাওয়া যায়নি এদিন। পুজোর মধ্যে বাঙালির রক্তচাপ বাড়িয়েছে বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপ। মহাষ্টমীতে দফায় দফায় বৃষ্টি হয়েছে। নবমীতে কয়েক জায়গায় মাত্র কিছুটা বৃষ্টি হয়েছে। নিম্নচাপ অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলের কাছে থাকলেও তার প্রভাবে দখিনা-পূবালি বাতাস সাগর থেকে সরাসরি বাংলার ভিতরে ঢুকে এসেছে। এই দখিনা পূবালি বাতাস দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির জন্য অনুকূল। হাওয়া অফিসের কর্তারা জানাচ্ছেন, বায়ুমণ্ডলের উপরের স্তরে শুকনো, ঠান্ডা বাতাস বইছে। উত্তর-পশ্চিম ভারত থেকে সেই বাতাস আসছে। বাংলার মাঝামাঝি অঞ্চলে এই শুকনো, ঠান্ডা বাতাসের সঙ্গে বঙ্গোপসাগরের জোলো বাতাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হচ্ছে। ফলে স্থানীয় বজ্রগর্ভ মেঘের সঞ্চার হয়ে বৃষ্টি হচ্ছে।

[আরও পড়ুন: প্রশাসনিক গাফিলতিতেই বিপদ? মাল নদীতে হড়পা বানে প্রাণহানির ঘটনায় প্রশ্নের ভিড়]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup রাজধানী এক্সপ্রেস toolbarvideo ISL10 toolbarshorts রোববার