বাবুল হক, মালদহ: একেবারে দিব্যি বেঁচে রয়েছেন! কিন্তু ভোটার তালিকায় তিনি 'মৃত'! অবাক হচ্ছেন শুনে? এসআইআর আবহে এমনই ঘটনার সাক্ষী মালদহের রতুয়ার ৫২ বছর বয়সী আলি হোসেন। ভোটার তালিকায় তিনি মৃত হওয়ায় দেওয়া হয়নি তাঁকে এসআইআরের এনুমারেশন ফর্মও। ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কিত আলি হোসেন। কীভাবে কোথায় গেলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না। ওই ব্যক্তি বলেন, ''২০০২ সালের ভোটার তালিকায় তাঁর নাম ছিল। কিন্তু মৃত্যু হয়েছে দেখিয়ে নাম তালিকা থেকে কেটে বাদ করে দেওয়া হয়েছে।''
রতুয়ার সামসি গ্রাম পঞ্চায়েতের ভগবানপুরের বাসিন্দা আলো হোসেন। পেশায় একজন পরিযায়ী শ্রমিক। সংসারের চাপে ভিনরাজ্যে গিয়ে কাজ করেন। দু'মাস-তিনমাস বাইরে কাটিয়ে আবার বাড়ি ফিরে আসেন। এসআইআর আবহে ভোটার তালিকায় নাম না থাকা নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছেন রতুয়ার যুবক আলি হোসেন। তিনি জানান, ''এবার বাড়িতে এসে অন্যান্য সদস্যদের এসআইআরের এ্যনুমারেশন ফর্ম দিয়ে গিয়েছেন বিএলও। কিন্তু ভোটার তালিকায় নাম না থাকায় তাঁকে ফর্ম দেওয়া হয়নি।''
তাঁর দাবি, ''২০০২ সালের ভোটার তালিকায় ৬৬ নম্বর অংশে আলি হোসেন, পিতা শিষ মহাম্মদ-সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নাম রয়েছে। ২০১৩ সালের পর ভোটার তালিকা থেকে নাম কেটে দেওয়া হয়। একাধিকবার আবেদন জানিয়েও কোনও ফল মেলেনি।'' এই বিষয়ে ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশনে নালিশ জানিয়েছেন আলি হোসেন। এই পরিস্থিতিতে আলি হোসেনের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন সামসি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান তথা রতুয়া-১ নম্বর ব্লক তৃণমূলের সহ-সভাপতি মোশারফ হোসেন। তিনি বলেন, "ভোটার রক্ষা শিবিরের মাধ্যমে আলি হোসেন এই বিষয়ে সব রকম সহযোগিতা করা হবে।"
