সৈকত মাইতি, তমলুক: হঠাৎ করেই বাড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বছর ২১-এর শুভাদ্রি বৈদ্য। দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়, সেরিব্রাল অ্যাটাক হয়েছে তাঁর। চিকিৎসকরা সময়ও পাননি। তিনি মারা যান। রাতে মৃতদেহ বাড়ি নিয়ে আসা হয়েছিল। একমাত্র ছেলের মৃতদেহ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন মা। কিন্তু তিনি যে এমন ভয়াবহ পদক্ষেপ করতে পারেন! তা আশা করেননি কেউই। শোকের আবহেই ওই বাড়িতে ঘটে গেল মর্মান্তিক ঘটনা। সকলের অলক্ষ্যে তিনতলার ছাদে উঠে ঝাঁপ দিলেন মা! ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হল মা মানসী বৈদ্যের। মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাটে।
কোলাঘাটের পাইকপাড়া এলাকার বাসিন্দা ওই পরিবার। গতকাল, শনিবার দুপুরে নিজের বাড়িতেই পড়ে গিয়েছিলেন তরুণ শুভাদ্রি। তাঁকে উদ্ধার করে কোলাঘাটের পাইকপাড়ি ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন, তাঁর সেরিব্রাল অ্যাটাক হয়েছে। হাসপাতাল থেকে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। খবর যায় কোলাঘাট থানায়। পুলিশ মৃতদেহ তমলুকের তাম্রলিপ্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। ময়নাতদন্তের পর রাতেই মৃতদেহ বাড়িতে নিয়ে আসা হয়।
ছেলের মৃতদেহ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন মা মানসী বৈদ্য। গোটা বাড়িতেই শোকের আবহ। কিন্তু মানসী যে এমন ভয়াবহ ঘটনা ঘটিয়ে ফেলবেন, তা আগে কেউ ঘুণাক্ষরে আঁচও করতে পারেননি। সকলের অলক্ষ্যে তিনতলা বাড়ির ছাদে চলে গিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকেই তিনি ঝাঁপ মারেন বলে অভিযোগ। ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। রক্তাক্ত মানসী দেবীকে উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। পুলিশ মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
স্ত্রী ও সন্তানকে হারিয়ে কার্যত দিশেহারা অবস্থা রমেশ বৈদ্যর। তিনি ডিস্ট্রিক এনফর্সমেন্ট ব্রাঞ্চে কর্মরত বলে জানা গিয়েছে। গোটা এলাকায় শোকের আবহ।
