অতুলচন্দ্র নাগ, ডোমকল: ৭ বছর আগে অনুপ্রবেশকারী এক বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করল রাজ্য পুলিশ। অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে নকল বাবা-মা সাজিয়ে রীতিমতো ভারতীয় পরিচয়পত্র বানিয়েছিল ওই বাংলাদেশি। এপারের যুবতীকে প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে বিয়েও করেছে। অবশেষে সাতবছর পর শুক্রবার রাতে মুর্শিদাবাদের রানিনগরের সীতানগর গ্রামে শ্বশুরবাড়ি থেকে ধরা পড়ল সে। তাকে গ্রেপ্তারির নেপথ্য গল্পটাও অনন্য।
নকল বাবা-মা দেখিয়ে আধার ও খাদ্য সুরক্ষা কার্ড বানিয়েছিল ৩০ বছর বয়সি মেহের আলি। বছরের পর বছর ধরে কেরলে চুটিয়ে কাজও করে যাচ্ছিল সে। কিন্তু আড্ডা দেওয়াই কাল হল। কথায় কথায় নিজের বড়াই করে পুলিশের 'খোঁচরে'র কাছেই নথি জালিয়াতির কথা জানিয়ে দেয় সে। আর সোর্স সরাসরি সে কথা জানায় পুলিশকে। খবর পেয়েই গতকাল রাতে শ্বশুরবাড়িতে অভিযান চালিয়ে মেহের আলিকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ।
পুলিশ জানায়, ধৃতের বাড়ি বাংলাদেশের রাজশাহি জেলার বাঘা থানার আতারপাড়া এলাকায়। জিজ্ঞাসাবাজে জানা গিয়েছে, সাত বছর আগে অবৈধভাবে ভারতে ঢুকেছিল সে। পরে সে বিভিন্ন লোককে ধরে কেরলে যায়। রাজমিস্ত্রির কাজ শুরু করে। সেই সময় ভুল নম্বরে ফোন মারফত আলাপ হয় মুর্শিদাবাদের রানিনগরের সীতানগর এলাকার এক যুবতীর সঙ্গে। কিছুদিন প্রেমালাপের পর বছর চারেক আগে তাদের বিয়ে হয়। বর্তমানে তাদের দুই সন্তান আছে।
জানা গিয়েছে, সীতানগরে বিয়ের সূত্র ধরেই শেখপাড়া বাজার থেকে আধার কার্ড তৈরি করিয়েছিল মেহের। এমনকী খাদ্য সুরক্ষার কার্ডও তৈরি করে। আর ওই সব প্রমাণপত্রকে হাতিয়ার করেই সীতানগরে শ্বশুরবাড়ি থেকে সে কেরলে যাতায়াত করত। শনিবার মেহের আলিকে আদালতে তুলে পাঁচদিনের রিমান্ড নেওয়ার আবেদন করেছে পুলিশ।