সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিজের বাড়ি থেকেই তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার। গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় মুর্শিদাবাদের কান্দি থানার বহড়া গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, আত্মহত্যা করেছেন তিনি। কী কারণে চরম সিদ্ধান্ত, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।
নিহত বছর একত্রিশের পৌলমী বিজয়পুরী। মুর্শিদাবাদের কান্দির নতুন পাড়াতে নিজের বাড়িতেই থাকতেন পরিবারের সঙ্গে থাকতেন পৌলমী। শুক্রবার রাতে নিজের ঘরে অনেকক্ষণ তরুণী চিকিৎসকের কোনও সাড়াশব্দ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরিবারের লোকজন বেশ কিছুক্ষণ ডাকাডাকি করেন। তবে তা সত্ত্বেও কোনও শব্দ না পেয়ে ঘরের দরজা ভাঙা হয়। ঘরে ঢুকে তাজ্জব হয়ে যান তাঁরা। দেখেন ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছেন পৌলমী। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কান্দি থানার পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়।
কান্দির এক স্বাস্থ্য আধিকারিক জানান, ২ বছর আগে দন্ত চিকিৎসক হিসাবে বহড়া গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগ দেন পৌলমী। খুবই সাদাসিধে এবং মিষ্টভাষী ছিলেন তিনি। কীভাবে এই ঘটনা ঘটল তা বুঝতে পারছেন না তিনি। অপরদিকে, পৌলমীর প্রতিবেশীরা জানান, লেখাপড়ায় খুবই ভালো ছিলেন ওই তরুণী। মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় অনেক নম্বর পেয়ে পাশ করেন তিনি। প্রথম থেকেই ডাক্তার হয়ে গ্রামবাসীদের সেবা করার ইচ্ছা ছিল তাঁর। আর হয়েছিলও সেটাই। তবে আচমকা কেন আত্মহননের পথ বেছে নিলেন পৌলমী, তা স্পষ্ট নয়। কান্দি থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।