সঞ্জিত ঘোষ, নদিয়া: পরিবহণ ব্যবসায়ীর লরি নিয়ে বেপাত্তা হয়ে গিয়েছিল প্রতারক। পুলিশকে জানিয়েও লাভ হয়নি কিছুই। অবশেষে লরি ফিরে পেতে আসরে নামেন পরিবহণ ব্যবসায়ীর স্ত্রী। প্রতারককে প্রেমের ফাঁদে ফাঁসিয়ে নবদ্বীপ থানার পুলিশের হাতে তুলে দিলেন মহিলা। আরও তথ্যের জন্য অভিযুক্তকে ১৪ দিনের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। তাকে জেরা করে আরও তথ্য পাওয়া যাবে বলেই আশা তদন্তকারীদের।
ঘটনা প্রায় দিন পনেরো আগের। মুর্শিদাবাদের সালার থানা এলাকার এক পরিবহণ ব্যবসায়ীর লরি ভাড়া দেন। হুগলির হরিপালের আলিপুরের নয়ানগরের বাসিন্দা শেখ সারুক আলি ধানবোঝাই লরি নেয়। গন্তব্যস্থলে পৌঁছনোর আগেই বেপাত্তা হয়ে যায় লরিচালক। বারবার ফোনে তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে পুলিশ। তা সত্ত্বেও লরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। বাধ্য হয়ে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তবে তাতেও লাভ হয়নি কিছুই। পুলিশ লরিচালককে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
এরপর আসরে নামেন পরিবহণ ব্যবসায়ীর স্ত্রী। কোনওক্রমে লরিচালকের ফোন নম্বর যোগাযোগ করেন তিনি। ফোনেই লরিচালকের সঙ্গে প্রথমে বন্ধুত্ব হয়। পরে তা প্রেমের সম্পর্কের রূপ নেয়। লরিচালকের সঙ্গে দেখা করার পরিকল্পনা করেন মহিলা। তাঁর প্রেমের টানে সাড়া দিয়ে নবদ্বীপে চলে আসে লরিচালক। গৃহবধূর সঙ্গে দেখাও হয় তার। এদিকে, দেখা করতে যাওয়ার আগে পুলিশকে গোটা বিষয়টি জানিয়ে যান বধূ। এরপর পুলিশ নবদ্বীপ স্টেশন থেকে অভিযুক্ত লরিচালককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এই প্রথমবার নাকি এর আগেও এক কাজ লরিচালক করেছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। ধৃতকে আরও জেরা করে এই সংক্রান্ত তথ্যের খোঁজে পুলিশ।