শাহজাদ হোসেন, ফরাক্কা: দিল্লির বিস্ফোরণ কাণ্ডে বাংলা যোগ! তদন্তে মুর্শিদাবাদের নবগ্রামে হানা জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-র। এক পরিযায়ী শ্রমিক মইনুল হাসানের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান। বিস্ফোরণ কাণ্ডের তদন্তে দেশজুড়ে তল্লাশি চালাচ্ছে তদন্তকারী সংস্থা। সেই তালিকায় নাম জুড়ল মুর্শিদাবাদের। বুধবার দিনভর মইনুলের বাড়িতে চলল তল্লাশি। তদন্তকারীরা ঘুরলেন মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন এলাকায়। যা নিয়ে তীব্র উত্তেজনা এলাকায়। নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে এই অভিযান বলে সূত্রের খবর।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নবগ্রামের বাসিন্দা মইনুল পরিযায়ী শ্রমিক। কখনও দিল্লি ,কখনও মুম্বইয়ে কাজ করেছেন। জানা গিয়েছে, দিল্লিতে কাজ করার সময় এক বাংলাদেশির সঙ্গে থাকতেন মইনুল হাসান। সেই বাংলাদেশির সঙ্গে মইনুলের দীর্ঘদিন ধরে যোগাযোগ রয়েছে বলে দাবি। সেই সময়ে কোনও জঙ্গি সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে মুর্শিদাবাদের ওই পরিযায়ীর যোগাযোগ হয়েছিল কি না, তা খতিয়ে দেখছে এনআইএ। উল্লেখ্য, দিল্লিতে বিস্ফোরণের পর সরকারিভাবে বুধবার ঘটনার তদন্তভার নেয় এনআইএ। তদন্তে নেমে মইনুলের ফোন নম্বর পায় তদন্তকারী সংস্থা। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও গ্রেপ্তারির খবর পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, সোমবার রাতে দিল্লিতে বিস্ফোরণ ঘটে। সেই ঘটনায় অন্তত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ষড়যন্ত্রকারীদের কাউকেই রেয়াত দেওয়া হবে না। যদিও কোনও জঙ্গি গোষ্ঠী এখনও পর্যন্ত হামলার দায় স্বীকার করেনি।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, বিস্ফোরণের আগে সুনহেরি মসজিদের পার্কিং লটে ৩ ঘণ্টা অপেক্ষা করছিল ঘাতক গাড়িটি। সেই সূত্র ধরেই দিল্লি বিস্ফোরণে যুক্ত থাকার অভিযোগে আটক করা হয়েছে দুই সন্দেহভাজনকে। চলছে তদন্ত। সূত্রানুসারে, ষড়যন্ত্রকারীরা প্রায় দু’বছর ধরে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট সংগ্রহ করছিল। আর এর থেকেই জইশের যুক্ত থাকার সম্ভাবনা আরও জোরালো হচ্ছে। কারণ, এই জঙ্গি গোষ্ঠীকেই সম্প্রতি হামলায় এমন বিস্ফোরকই ব্যবহার করতে দেখা গিয়েছে।
