দেবব্রত মণ্ডল, নরেন্দ্রপুর: পশু রাখার ক্রেশে ভয়ংকর ঘটনা। পোষ্যের নিরাপত্তার কথা ভেবে ক্রেশে রেখেছিলেন মালিক। কিন্তু সেই ক্রেশই প্রাণঘাতী হয়ে উঠল! নরেন্দ্রপুরের এক পশুক্রেশে বিষ খাইয়ে কুকুর হত্যার অভিযোগ উঠল। এনিয়ে পোষ্যের মালিক ওই ক্রেশের বিরুদ্ধে নরেন্দ্রপুর থানায় খুনের অভিযোগ অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ তার ভিত্তিতে তদন্তে নেমে ক্রেশ কর্তৃপক্ষকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। এভাবে পোষ্যকে হারিয়ে শোক ছাপিয়ে এখন ক্ষোভে ফুঁসছেন পোষ্যের মালিক।
ঘটনা ঠিক কী ঘটেছে? জানা যাচ্ছে, কুঁদঘাটের পূবালী গার্ডেনের কাছে পোষ্যদের দেখভালের জন্য একটি ক্রেশ রয়েছে। সেখানে গত বুধবার নিজের পোষ্য কুকুরকে নিয়ে গিয়ে রেখেছিলেন ইতুপর্ণা পাল নামে এক মহিলা। শুক্রবার তাঁকে ক্রেশ থেকে ফোন করে জানানো হয়, পোষ্যের কোনও হৃদস্পন্দন পাওয়া যাচ্ছে না। তা শুনে দ্রুত ক্রেশে পৌঁছন ইতুপর্ণা। সেখান থেকে দ্রুত পশু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় কুকুরটিকে। চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে জানান, কুকুরটি মৃত। এরপর ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, ওই সারমেয়র রক্তে বিষ পাওয়া গিয়েছে। এতেই রহস্য ঘনিয়েছে আরও। তবে কি ক্রেশে কুকুরের শরীরে কেউ বিষপ্রয়োগ করল? নাকি অন্য কোনওভাবে তার শরীরে বিষ ঢুকল? এর কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি এখনও। তা তদন্তসাপেক্ষ বলে জানাচ্ছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, মাস দুই আগে কুঁদঘাটের এক পশু ক্রেশ থেকে একটি পার্সিয়ান ক্যাট উধাও হয়ে যায়। সেটি ছিল অভিনেত্রী-সঞ্চালিকা সুদীপা চট্টোপাধ্যায়ের আত্মীয়ের বিড়াল। এনিয়ে সোশাল মিডিয়ায় নালিশের ঝড় উঠতেই তৎপর হয় পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয় ক্রেশের মালিককা। তবে নিখোঁজ হওয়া পার্সিয়ান ক্যাটের খোঁজ মেলেনি। এরপর শুক্রবার পূবালী গার্ডেনের ক্রেশ এই ঘটনা। ফলে প্রশ্ন উঠছে ক্রেশের দায়িত্ববোধ নিয়ে। মালিকরা নিরাপত্তার কথা ভেবেই নিজেদের অনুপস্থিতিতে পোষ্যদের এধরনের ক্রেশের দায়িত্বে রেখে যান। অথচ সেখানে নিরাপত্তার নামে কার্যত মৃত্যুফাঁদ! কুঁদঘাটের এই ক্রেশের ঘটনাই তার প্রমাণ। প্রশ্ন উঠছে, তবে কীসের ভরসায় মালিকরা পোষ্যদের ক্রেশে রাখবেন।
