অর্ণব দাস, বারাসত: হাসপাতালে চিকিৎসা করতে আসা নাবালিকাকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার নামে শ্লীলতাহানি! বারাসত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ঘটনায় গ্রেপ্তার পিজিটি চিকিৎসক। তার নাম দীননাথ কুমার, বয়স ৩২। ধৃত বিহারের বাসিন্দা বলে জানা যাচ্ছে। পুলিশে দায়ের হওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে শুরু হয়েছে তদন্ত। মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পুলিশ গোটা বিষয়টি দেখছে এবং কর্তৃপক্ষের তরফে সবরকম সহযোগিতা করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার ধৃত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে বারাসত আদালতে পেশ করা হয়েছে।
হাসপাতাল ও পুলিশ সূত্রে খবর, অ্যাপেন্ডডিক্স অপারেশন হওয়ার কথা ছিল নাবালিকার। সেই কারণে প্রাথমিক পরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে এসেছিল সে। আর সেই সময়ই তার চিকিৎসার অছিলায় তৃতীয় বর্ষের ওই পিজিটি চিকিৎসক নাবালিকার শ্লীলতাহানি করেছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনা নাবালিকা তার পরিবারকে জানায়। পরিবারের পক্ষ থেকে পিজিটি চিকিৎসক দীননাথ কুমারের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ তদন্তে নেমে তাকে গ্রেপ্তার করে। মেডিক্যাল কলেজ হাসপতালের এমএসভিপি অভিজিৎ সাহা জানিয়েছেন, "বৃহস্পতিবার বিকেলে নাবালিকার বাবা আমার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।অভিযোগের ভিত্তিতে মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ ঘটনার তদন্তের জন্য ফ্যাক্ট অ্যান্ড ফাইন্ডিংস টিম গঠন করে তদন্ত শুরু করেছে।"
জানা গিয়েছে, বছর বত্রিশের দীননাথ কুমার বিহারের বাসিন্দা। বারাসাত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তৃতীয় বর্ষের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট চিকিৎসক। মেডিক্যাল কলেজের বয়েজ হোস্টেলে থেকে পড়াশোনা করতেন তিনি। এমন জানিয়েছে মেডিক্যাল কলেজের অতিরিক্ত সুপারিন্টেনডেন্ট সুব্রত মণ্ডল। তিনি আরও জানান, পুলিশ নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে দীননাথ কুমারকে গ্রেপ্তার করেছেন এবং বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে। বুধবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৩৫১(২)/৭৪/৭৬ এবং পকসো আইনের ৮ নং ধারায় মামলার রুজু করে বারাসত আদালতে পেশ করা হয়েছে। চিকিৎসার নামে নাবালিকার সঙ্গে শ্লীলতাহানির মতো গুরুতর অভিযোগ ওঠায় হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠে গেল।
