সুব্রত বিশ্বাস: তবলা বাদকের খুনি রাহুল রাঠিকে বুধবার হাওড়া নিয়ে এল রেল পুলিশের বিশেষ দল। গুজরাটের পারবি আদালতের নির্দেশে তাকে হাওড়া নিয়ে আসা হয়। বৃস্পতিবার তাকে হাওড়া আদালতে হাজির করবে পুলিশ। অপরাধীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রেলপুলিশ ও রাজ্যের গোয়েন্দা পুলিশের আধিকারিকদের যে দল তৈরি হয়েছিল, তারা রাতভর জেরা করবে।
জিজ্ঞাসাবাদে ট্রেনে সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া খুন, ধর্ষণ নিয়ে নানাবিধ তথ্য সংগ্রহ করা হয়। হাওড়া রেল পুলিশের সুপার পুষ্পা বলেন, বিষয়টি স্পষ্ট হলেও তথ্য প্রমাণের জন্য অপরাধীকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। গত ১৯ নভেম্বর রাতে কাটিহার এক্সপ্রেসের বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্নদের কামরাতে খুন করা হয় তবলা বাদক সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে। গুজরাটের ভালসাদ পুলিশ অন্য একটি খুন ও ধর্ষণের তদন্তে নেমে গ্রেপ্তার করে রাহুলকে। এরপরই এক মাসে পাঁচটি খুন ও ধর্ষণের অপরাধের কথা স্বীকার করে অপরাধী। পাঁচটি খুনের মধ্যে তিনটিই মহিলা ও দুটি পুরুষ। যার মধ্যে কাটিহার এক্সপ্রেসের তবলা বাদকের খুনিও সে।
খুন করে আজিমগঞ্জে নেমে যাওয়া। মালদহে গিয়ে ফের হাওড়া আসার কথা জানিয়েছে খুনি। ফলে সেই জায়াগাতেও ঘটনার পুণনির্মাণ করার পরিকল্পনা করেছে রেল পুলিশ। অপরাধী রাহুল পাঁচ বছরে স্কুল ছুট। এরপর বাড়ি ছাড়া। মাঝে মধ্যে গাড়ি চালানো ও সাইকেল চুরির পাশাপাশি পায়ে সমস্যা থাকায় বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্নদের কামরায় সারা ভারতে ঘুরে বেড়ানো। ওই কামরায় একা মহিলা পেলে ধর্ষণ করে খুন, সর্বস্ব চুরি করে খুনের মতো অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছিল সে বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে।
হাওড়া রেল পুলিশের সুপার জানিয়েছেন, বুধবার বিকেলে তাকে বিমানে কলকাতা আনা হয়। এরপর হাওড়া। অপরাধীর অপরাধ প্রবণতা প্রকাশ হওয়ায় মানুষের কৌতূহল রয়েছে। অপরাধ নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেছিল হাওড়ার তৃণমূল কংগ্রেস। বুধবার মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন, "এই সিরিয়াল কিলারের দৃষ্টান্তমূলক সাজা চাই। তবে পুলিশ তদন্ত ও আদালত নিশ্চয়ই উপযুক্ত সাজা দেবে বলে আশা করছি।" বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে হাজির করা হবে। ফলে এদিন কড়া নিরপত্তার মধ্যে তাকে হাজির করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে পুলিশ।