shono
Advertisement

বিজয়ার উপহার জেলাশাসকের, ফলভরতি ঝুড়ি ও শুভেচ্ছাবার্তা পেয়ে খুশি পুরুলিয়ার কোভিড রোগীরা

‘‌করোনা হারবে, পুরুলিয়া জিতবে’, শুভেচ্ছাবার্তায় লিখলেন জেলাশাসক।
Posted: 08:42 PM Oct 26, 2020Updated: 08:42 PM Oct 26, 2020

সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: “আপনিই পারেন যে কোন পরিস্থিতিতে নিজেকে শক্ত রাখতে। আপনিই পারেন করোনার মত রোগকে দমন করতে….। করোনা হারবে, পুরুলিয়া জিতবে। করোনা হারবে, বাংলা জিতবে।”
সোমবার দশমীর সন্ধ্যায় কোভিড (Covid-19) রোগীদের ‘শুভ বিজয়া’ জানিয়ে মিষ্টি মুখ করালেন পুরুলিয়ার জেলাশাসক রাহুল মজুমদার। নিজেই ফল ভরতি ঝুড়ি তাঁদের হাতে তুলে দিলেন। সঙ্গে ছিল একটি গ্রিটিংস কার্ডও। তাতেই লেখা ছিল উপরোক্ত কথাগুলো।

Advertisement

তাঁর এই শুভেচ্ছা পর্বে সঙ্গী হিসেবে ছিলেন জেলা প্রশাসনের টিম–সহ স্বাস্থ্য দপ্তরের বেশিরভাগ কর্তারাই। এদিন সন্ধ্যায় জেলার কোভিড হাসপাতাল–সহ তিনটি সেফ হোমেই করোনা (Corona Pandemic) রোগীদের হাতে হাতে পৌঁছায় জেলা প্রশাসনের তরফে পাঠানো ফল ভরতি ঝুড়ি–সহ বিজয়ার এই গ্রিটিংস। মা উমাকে এ বছরের মত বিদায় দেওয়ার পর্বে পুরুলিয়া (Purulia) জেলা প্রশাসনের এই অভিনব আয়োজনে হতবাক কোভিড রোগীরা। তাঁদের কথায়, “এই গ্রিটিংসের শুভ বিজয়াতেই যেন অনেকটা সুস্থ হয়ে উঠলাম।” এদিন জেলার কোভিড হাসপাতাল রোটারি ক্লাব অফ পুরুলিয়া সার্ভিস সেন্টার, মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতালে পিপিই কিট (PPE Kit) গায়ে চাপিয়ে নিজেই যান জেলাশাসক (District Magistrate) ও তাঁর টিম। বাকি তিনটি সেফ হোম– পুরুলিয়া শহরের জেলা যুব আবাস, শহরের উপকন্ঠে মাদার টেরিসা হাসপাতাল ও জয়চন্ডী পাহাড়ের যুব আবাসে প্রশাসনের তরফে ওই ফ্রুট বাস্কেট–সহ বিজয়ার গ্রিটিংস কোভিড রোগীদের হাতে হাতে পৌঁছে দেওয়া হয়।

[আরও পড়ুন: আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই পুজো উপলক্ষে চটুল নাচের আসর, পুলিশের জালে ২ উদ্যোক্তা]

ওই গ্রিটিংসে জেলাশাসকের বার্তা, “আর মাত্র কয়েকদিন পর আপনি সুস্থ হয়েই সবাইকে বলতে পারবেন করোনাকে জয় করা সম্ভব। সাবধানতায়, ইচ্ছাশক্তির জোরে সেরে উঠুন খুব তাড়াতাড়ি, আর সবাইকে বুঝিয়ে দিন…করোনা হারবে, পুরুলিয়া জিতবে। করোনা হারবে, বাংলা জিতবে।” নিচে লেখা, “বিজয়া দশমীর শুভেচ্ছা সহ, জেলাশাসক পুরুলিয়া।” জেলাশাসকের কথায়, “এমন শারদোৎসব আমরা আগে দেখিনি। কোভিড রোগীরা পুজোর দিনগুলিতে হাসপাতালে বা সেফ হোমে বন্দি হয়েই কাটালেন। তাঁরা যাতে দ্রুত সুস্থ হয়ে যান বিজয়া দশমীতে আমরা তাঁদের সেই শুভেচ্ছা জানালাম।” এদিন কোভিড হাসপাতাল পরিদর্শন করার আগে সেখানেই চিকিৎসকদের নিয়ে বৈঠক করেন জেলাশাসক। পুজো শেষে এই জেলায় সংক্রমণের হার কতটা তা তিনি বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করেন। একসময় দীর্ঘদিন গ্রিন জোনে থাকা এই জেলাতেও সংক্রমণ ক্রমশ বাড়ছে। তবে সুস্থ হওয়ার হার অনেক বেশি।

[আরও পড়ুন: কোচবিহারের তৃণমূল নেতাকে এলোপাথাড়ি ধারাল অস্ত্রের কোপ, গণপিটুনির শিকার এক অভিযুক্ত]

ছবি- সুনীতা সিং

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement