shono
Advertisement
WB By Election Result

আর জি কর আন্দোলন বিরোধীদের ফোলানো বেলুন! ভোটবাক্স বোঝাল মমতাতেই ভরসা বাংলার

কোন ম্যাজিকে ছয়ে ছয় তৃণমূলের?
Published By: Paramita PaulPosted: 01:00 PM Nov 23, 2024Updated: 04:44 PM Nov 23, 2024

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এক মাস আগেও দ্রোহের আগুন জ্বলেছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। আর জি কর কাণ্ডকে কেন্দ্র করে স্লোগান উঠেছে শাসকদল বিরোধী। দলে-দলে পথে নেমে চলেছে আন্দোলন। এই ঘটনাকে হাতিয়ার করে শাসকদের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিল বিরোধীরা। উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেই দাবি করেছিল, মমতার বিদায় স্রেফ সময়ের অপেক্ষা! কিন্তু সকলের আড়ালে মুচকি হেসেছিল আমজনতা। উপনির্বাচনের ফলে তারা বুঝিয়ে দিল, আর জি কর আন্দোলন স্রেফ বিরোধীদের ফোলানো বেলুন! আসলে মমতাতেই ভরসা রাখছে বঙ্গবাসী।

Advertisement

৯ আগস্ট আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের প্রতিবাদে গর্জে উঠেছিল সাধারণ মানুষ। ১৪ আগস্ট 'রাতদখল' কর্মসূচিতে অভিনব ছবি দেখেছিল গোটা দেশ। শুধু 'রাতদখল' নয়, একের পর এক আন্দোলনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে মানুষ যোগ দিয়েছেন। তবে সুযোগ বুঝে এই আন্দোলনে রাজনৈতিক রং লাগায় বিরোধীরা। এমনকী মুখ্যমন্ত্রীর নামে কুৎসা-কটূক্তিও উড়ে এসেছিল কোনও কোনও মিছিল থেকে। রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছিল, এবার বোধহয় শাসকের গদি টলমল। কিন্তু তৃণমূল প্রথম থেকে দাবি করে এসেছে, আন্দোলনের নেপথ্যে রয়েছে বাম-বিজেপির চক্রান্ত। আর উপনির্বাচনের ফলাফলে সে ছবিই স্পষ্ট হল। আর জি করের সুবিচার চেয়েও সাধারণ মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই রয়েছে।

৬ কেন্দ্রের উপনির্বাচন। কেউ কেউ বলছিলেন, ছাব্বিশের ভোটের আগে এটা সেমি ফাইনাল। আরও এক ধাপ এগিয়ে কারও দাবি ছিল, এটা তৃণমূলের অ্যাসিড টেস্ট। ভোট হয় মাদারিহাট, সিতাই, তালড্যাংরা, মেদিনীপুর, নৈহাটি, হাড়োয়া কেন্দ্রে। সব কেন্দ্রেই জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী। ভোটের ব্যবধান কোথাও ৫০ হাজারের বেশি তো কোথাও আবার তা লাখ পেরিয়েছে। যা দেখে চওড়া হাসি ঘাসফুল শিবিরে।

কোন ম্যাজিকে ছক্কা হাঁকাল তৃণমূল?

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের দাবি, আর জি কর আন্দোলনে স্বতঃস্ফূর্ততা থাকলেও তা একেবারে নগরকেন্দ্রিক। যার কোনও প্রভাব গ্রামাঞ্চলের মাটিতে পড়েনি। বরং লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, বিনামূল্যে রেশন, কন্যাশ্রী, রূপশ্রীর মতো প্রকল্পের প্রত্যক্ষ সুবিধা পান তাঁরা। বাড়ির সামনে ঝকঝকে পাকা সড়ক রয়েছে। ফসলের ক্ষতি হলে মেলে সরকারি বিমা। অর্থাৎ জয়ের ফ্যাক্টর হয়েছে উন্নয়নই। ভোটের লাইনে দাঁড়ানোর আগে এ সমস্ত সুযোগ-সুবিধার কথা মাথায় রেখেছিলেন তাঁরা। অন্যদিকে আন্দোলন, দ্রোহের ঝাঁজ শুধুমাত্র কলকাতা ও হাতেগোনা কিছু শহরের মধ্যে আবদ্ধ থেকে গিয়েছে। বিরোধীরা সুর চড়ালেও সেই সুর বাংলার মাঠঘাটে নিয়ে যেতে পারেনি। ফলে ভোটের বাক্সে আর জি কর আন্দোলনের কোনও প্রভাব নেই। যদিও বিরোধীরা বলছে, বাংলায় ভোটপ্রক্রিয়ায়ই হয় না! বিধানসভা-লোকসভা ভোটেই অধিকাংশ বুথে এজেন্ট বসানো যায়নি। ভোট তো লুট হয়েছে। আর এ তো উপনির্বাচন!

আর অ্যাসিড টেস্ট জিতে চওড়া হাসি নিয়ে তৃণমূলের দাবি, আর জি কর নিঃসন্দেহে নৃশংস ঘটনা। তবে তা বিচ্ছিন্ন। বিরোধীরা একে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে চেয়েছিল। একে হাতিয়ার করে রাজ্যে পালাবদলের স্বপ্ন দেখছিল। ভোটের বৈতরণী পার করতে চেয়েছিল। কিন্তু রাজ্যবাসী তাঁদের সেই স্বপ্নে ছাই ফেলেছে। বুঝিয়ে দিয়েছে আর জি কর আন্দোলন বিরোধীদের ফোলানো বেলুন! আর মা-মাটিতেই ভরসা বাংলার মানুষের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে বাংলার মা-বোন-মেয়েদের ভালো চান, এই প্রতিষ্ঠিত সত্য একটি আর জি কর কাণ্ডে বদলে যায় না, তা এই ভোটবাক্সে বুঝিয়ে দিল বাংলার মানুষ। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • এক মাস আগেও বিদ্রোহের আগুন জ্বলেছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে।
  • আর জি কর কাণ্ডকে কেন্দ্র করে স্লোগান উঠেছে শাসক দল বিরোধী।
  • দলে-দলে পথে নেমেছে আমজনতা। যা দেখে বিরোধীরা রীতিমতো উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েছিল।
Advertisement