সংগ্রাম সিংহরায়, শিলিগুড়ি: এ রাজ্যে ঘুরতে চাইলে, স্বাগত বিশ্ববাসী। ‘ব্র্যান্ড বেঙ্গল’ যে শুধু খাতায় কলমেই সীমাবদ্ধ নয়, তার প্রমাণ দিতে চলেছে রাজ্য পর্যটন দপ্তর। ব্র্যান্ডটিকে আরও একধাপ বিশ্বজনীন করার পথে হাঁটছে রাজ্য। পর্যটনের হাল হকিকৎ ফিঙ্গার টিপসে নিয়ে এসে ফেলা হচ্ছে। যাবতীয় পরিকল্পনা প্রস্তুত। আনা হচ্ছে নয়া অ্যাপ। এখন তা শুধু প্রয়োগের অপেক্ষায় রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর রাজ্যের পর্যটনকে বিশ্বজনীন করে তোলার এই উদ্দেশ্য এতে অনেকটাই সফল হবে বলে মনে করছেন পর্যটন বিশেষজ্ঞরা। সেই সঙ্গে সরকারি পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে ঠাঁই পেতে ও সম্পূর্ণ গাইডলাইন পেতে হলে কারও উপর নির্ভর করতে হবে না বলে জানিয়েছেন পর্যটন কর্তারা।
আশাবাদী পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেবও। তিনি বলেন, “রাজ্যের পর্যটনকে আকর্ষণীয় করতে প্রতিদিনই নতুন নতুন চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। ‘অ্যাপ’-এর চিন্তা ভাবনাও এরই অঙ্গ।” তবে আপাতত এই অ্যাপটি শুধু পর্যটন দপ্তরের অধীনে থাকা রিসর্ট, বাংলো ও ট্যুরিস্ট লজগুলির ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে। পরবর্তীতে বন দপ্তর ও বন উন্নয়ন নিগমের আস্তানাগুলিকেও এর মধ্যে রাখা যায় কি না, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে বলে দপ্তর সূত্রে জানানো হয়েছে।
[চোখ মেললেই ঘন সবুজের রাজত্ব, এই গরমে আপনারও ঠিকানা হোক ‘ইচ্ছেগাঁও’]
কীভাবে পরিকল্পনা করা হয়েছে এই নয়া অ্যাপটির? বিষয়টি খোলসা করেছেন পর্যটন দপ্তরের শিলিগুড়ির-সহ অধিকর্তা সম্রাট চক্রবর্তী। তিনি জানান, আর পাঁচটা তথ্যমূলক ‘অ্যাপ’-এর মতোই এই অ্যাপটি খুললে তাতে আইকন করে দেওয়া থাকবে গোটা রাজ্যের পর্যটনের যাবতীয় তথ্যভাণ্ডার। দার্জিলিং থেকে দিঘা, মুকুটমণিপুর থেকে সুন্দরবন। কিংবা জলদাপাড়া থেকে রাঢ়বঙ্গের গৌড় কিংবা চাপড়ামারি। রাজ্য পর্যটন দপ্তরের অলিগলির ঠিকানা মিলবে এই অ্যাপেই। সেখানেই কোথায় ক’টি ঘর খালি রয়েছে, তা জানতে ও সঙ্গে সঙ্গে ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে বুক করা যাবে। প্রয়োজনে খাবারও বুক করা যাবে অনলাইনেই।
অ্যাপের মধ্যেই থাকবে সমস্ত লোকেশনের জিপিএস ম্যাপ। তাতে থাকবে পথ নির্দেশ। নির্দিষ্ট গন্তব্যের পথে কী কী দ্রষ্টব্য রয়েছে। কোথায় বিরতি নেওয়া যাবে, কোথা থেকে সাইট সিয়িং-এর যানবাহন মিলবে তার সমস্ত হদিশ দেওয়া থাকবে অ্যাপেই। সহ অধিকর্তা আরও জানান, একটি বেসরকারি সংস্থাকে দিয়ে সমীক্ষার কাজ শুরু হচ্ছে। তা শেষ হলেই বৈঠক করে অ্যাপটি তৈরির ব্লু প্রিন্ট তৈরি হবে।। সহজেই যাতে যে কেউ অ্যাপটি ব্যবহার করতে পারেন সেই বিষয়টি মাথায় রেখে ইউজার ফ্রেন্ডলি করে তৈরি করার উপরে জোর দেওয়া হচ্ছে। সাধারণভাবে গুগল প্লে স্টোরে মিলবে এই অ্যাপ। তা ডাউলনোড করে নেওয়া যাবে। এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছেন পর্যটন বিশেষজ্ঞ সম্রাট সান্যাল, রাজ বসু, পার্থ গুহরা। সম্রাটবাবুর মতে, পর্যটনকে যত সহজে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া যাবে, তত বেশি মানুষ আগ্রহী হবেন। দপ্তরের এই উদ্যোগকে স্বাগত।
[ছকে বাঁধা জীবন থেকে বেরিয়ে ঘুরে আসুন মানুষের তৈরি এই স্বর্গরাজ্যে]
The post রাজ্যে ঘোরার অলিগলি হাতের মুঠোয়, আসছে নয়া অ্যাপ appeared first on Sangbad Pratidin.