দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: শেষ বাঘবন্দি খেলা। অবশেষে খাঁচাবন্দি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। ছাগলকে টোপ হিসাবে ব্যবহার করে খাঁচা পেতেছিলেন বনকর্মীরা। সেই টোপেই দেয় কাজ। রবিবার গভীর রাতে বনদপ্তরের খাঁচায় ধরা দেয় দক্ষিণরায়। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন মৈপীঠের বাসিন্দারা। এই নিয়ে এক সপ্তাহে তিনবার লোকালয়ে বাঘ চলে আসার ঘটনা স্বাভাবিকভাবেই রাতের ঘুম কেড়েছিল তাঁদের।
রবিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলির মৈপীঠ এলাকার বিভিন্ন গ্রামে বাঘের আতঙ্ক ছড়ায়। এদিন সকালে স্থানীয় মৎস্যজীবীরা প্রথম বাঘের পায়ের ছাপটি লক্ষ্য করেন। তারপর খবর দেওয়া হয় বনদপ্তরকে। বনদপ্তরের কর্মীরা এসে বাঘের পায়ের ছাপটি দেখেন। বাঘের পায়ের ছাপটি লক্ষ্য করে বনদপ্তরের কর্মীরা মনে করছেন, নতুন করে এলাকায় আবার বাঘ ঢুকেছে। তবে বাঘ দেখা যায়নি। স্থানীয়দের কেউ কেউ দাবি করেন, দুটি বাঘ ঢুকে পড়েছে। তবে বাঘের অস্তিত্ব না জানায় কটি বাঘ, সে বিষয়ে বনদপ্তরের তরফে নিশ্চিতভাবে কিছু জানানো হয়নি। জাল দিয়ে প্রায় গোটা গ্রাম ঘিরে ফেরা হয়। বনদপ্তরের তরফে খাঁচাও পাতা হয়। তাতেই দেয় কাজ। গভীর রাতে খাঁচাবন্দি করা হয় রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারকে।
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন যাবৎ আজমলমারি জঙ্গল থেকে বারবার লোকালয়ে ঢুকে পড়ে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। প্রতিবারই বনদপ্তর তাকে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করে সুন্দরবনের গভীর জঙ্গলে। গত দু'সপ্তাহে প্রায় চারবার বাঘ হানা দিয়েছে ওই এলাকায়। তবে প্রতিবারই নিজে থেকে জঙ্গলে চলে গিয়েছে বাঘ। মৈপীঠের বাঘটিকে দিনকয়েক আগে জঙ্গলে ফেরানো হলেও সেটি ফিরে আসে বলে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন গ্রামবাসীরা। তবে গভীর রাতে বাঘ খাঁচাবন্দি হওয়ায় আতঙ্ক কেটেছে স্থানীয়দের।