রঞ্জন মহাপাত্র কাঁথি: শীতের আগমন হতে না হতেই পর্যটন স্থলগুলি এখন ভরা পর্যটনের মরশুম। রাজধানী দিল্লি থেকে বাংলার সৈকত শহর দিঘা - সর্বত্র ভিড়। দারুণ আবহাওয়ায় ভ্রমণের ফুরফুরে মেজাজে এখন পর্যটকরা। আর সেখানেই লুকিয়ে বিপদ! মঙ্গলবার ভর সন্ধ্যায় দিল্লির অন্যতম জনবহুল লাল কেল্লা মেট্রো স্টেশনের সামনে যেভাবে গাড়ি বোমা বিস্ফোরণে ১৩ জন নিমেষে প্রাণ হারালেন, তা বড়সড় ধাক্কা নিঃসন্দেহে। তবে তা থেকে শিক্ষা নিয়েই এখন বাড়তি সতর্কতা দেশের প্রায় সমস্ত প্রান্তে। বিশেষত পর্যটন স্থানগুলিতে। বাংলা ও ভিনরাজ্যের পর্যটকদের কাছে এই মুহূর্তে অন্যতম আকর্ষণের জায়গা দিঘার জগন্নাথ মন্দির। দিল্লি বিস্ফোরণের পর সেখানকার নিরাপত্তা বাড়ল কয়েকগুণ। ঘনঘন মন্দির পরিদর্শন করতে দেখা গেল জেলা পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত এসপি-সহ পুলিশের বড় কর্তাদের।
দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) মানব সিংহল। নিজস্ব ছবি।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দিল্লিতে গাড়ি বোমা বিস্ফোরণের পর এক মুহূর্তও দেরি করেনি পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ। বুধবার সকাল থেকেই দিঘার নিরাপত্তা বেড়েছে কয়েকগুণ। বুধবার দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিজে খতিয়ে দেখেছেন পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার সৌম্যদীপ ভট্টাচার্য। মন্দিরের প্রবেশপথগুলিতে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মীদের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি। সুরক্ষা বাড়ানোর জন্য কী কী পদক্ষেপ নিতে হবে, সেই নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গেই সমস্ত সিসিটিভি ক্যামেরা এবং পরিষেবা ঠিকঠাক রয়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হয়।
আর বৃহস্পতিবার সেখানে গেলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) মানব সিংহল। এরপর তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, জগন্নাথ মন্দিরের প্রতিটি গেটে এমনিতে সারাবছর নিরাপত্তা আঁটসাঁট থাকে। এখন প্রতিটি 'এন্ট্রান্সে' স্ক্যানার, নিয়মিত লাগেজ পরীক্ষা, ২৪ ঘণ্টা সিসিটিভির নজরদারি, অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করার কথা জানালেন এএসপি মানব সিংহল। তিনি আরও জানান, বাংলা এবং ওড়িশা সীমানা এলাকাতেও নিরাপত্তা বেড়েছে। ওডিশার সীমানা বরাবর সমস্ত এলাকায় চলছে নাকা চেকিং। শুধু তাই নয়, জলপথে বিপদ এড়াতে সৈকত বরাবর উপকূল পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় রেখে নজরদারি চলছে বলে জানান এএসপি। এছাড়া হোটেলগুলিতে নিয়মিত নিরাপত্তা পরীক্ষা ছাড়াও বিদেশি অতিথিদের যাবতীয় তথ্য নথিবদ্ধ করে রাখছে পুলিশ।
