সম্য়ক খান, মেদিনীপুর: কর্মসূত্রে দাদা থাকেন ভিনরাজ্যে। বাড়িতে শাশুড়ি, দেওর আর ছোট্ট কন্যাসন্তানকে নিয়ে থাকতেন গৃহবধূ। ওই বাড়ি থেকেই দেওর ও বউদির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার। মেদিনীপুর সদর ব্লকের ফড়িংডাঙার ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে আত্মহত্যা নাকি অন্য কোনও কারণ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
নিহতেরা হলেন বছর বত্রিশের সমর মাণ্ডি এবং ছাব্বিশ বছর বয়সি নিয়তি মাণ্ডি। সম্পর্কে দুজনে দেওর ও বউদি। মেদিনীপুর সদর ব্লকের ফড়িংডাঙার বাসিন্দা তাঁরা। নিয়তি মাণ্ডির সঙ্গে বিয়ে হয় সমরের দাদা ঝন্টু মাণ্ডির। তাঁদের বছর চারেকের কন্যাসন্তানও আছে। কিন্তু কর্মসূত্রে ঝন্টু ভিনরাজ্যে থাকেন। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যা গুরুবারী হেমব্রম জানান, তাঁরা দুই ভাই ও এক বোন। বোনের আগেই বিয়ে হয়ে গিয়েছে। বাড়িতে মেয়েকে নিয়ে থাকতেন নিয়তি। আর থাকতেন তাঁর শাশুড়ি ফুলমণি মাণ্ডি ও দেওর সমর মাণ্ডি।
গ্রামবাসীদের সন্দেহ, স্বামী বাড়িতে না থাকায় দেওরের সঙ্গে হয়তো বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন নিয়তি মাণ্ডি। দুজনের মধ্যে বা পরিবারে হয়তো কোনও বিবাদ হয়ে থাকতে পারে। সে কারণেই ওই যুগল গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন। ঠিক কোন কারণে এমন চরম সিদ্ধান্ত নিলেন তাঁরা, তা স্পষ্ট নয়। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।