সঞ্জিত ঘোষ, নদিয়া: অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্র থেকে বিতরণ করা খিচুড়িতে সাপের খোলস! সেই বিষাক্ত খিচুড়ি খেয়ে অসুস্থ অন্তত ২০টি শিশু। দ্রুত তাদের স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার চাপড়া ব্লকের ডোমপুকুর এলাকার একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায়। ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে বাইরে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকরা। তাঁদের দাবি, চূড়ান্ত গাফিলতির কারণেই এই অবস্থা। ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে চলে এই বিক্ষোভ। ঘটনার খবর পেয়েই ছুটে আসে বিশাল পুলিশবাহিনী।
জানা যায়, এদিন সকালে ডোমপুকুর গ্রামের ফারজিনা খাতুন নামে এক মহিলা তাঁর সন্তানদের জন্য অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে বরাদ্দ খাবার অর্থাৎ খিচুড়ি সংগ্রহ করেন। সেই খিচুড়ি সন্তানদের মুখে তুলে দেওয়ার সময় ওই মহিলা দেখতে পান, খাবারের মধ্যে কিছু একটি পড়ে রয়েছে! ভালো করে তা দেখতেই একেবারে চোখ কপালে ওঠার জোগার। দেখেন, খিচুড়িতে পড়ে আস্ত একটা সাপের খোলস। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ফারজিনা খাতুন। দ্রুত খবর ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু ততক্ষণে ওই বিষাক্ত খিচুড়ি অনেকেই খেয়ে ফেলেছেন। অসুস্থ হয়ে পড়েন এক এক করে অন্তত ২০টি শিশু। জানা যায়, সবারই পেটে ব্যথা ও বমির মতো উপসর্গ ছিল।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিক চিকিৎসার পর যদিও বেশ কয়েকজন শিশুকে ছেড়েও দেওয়া হয়েছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। অভিভাবকদের অভিযোগ, ''অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের খাবারের মান খুবই খারাপ। এর আগেও এই বিষয়ে অভিযোগ জানানো হয়েছে। কিন্তু কর্তব্যরত কর্মীদের তরফে কোনও ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি।'' ফলে চূড়ান্ত গাফিলতির কারণেই এই ঘটনা বলে দাবি। এরপরেই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সামনে বিক্ষোভ দেঝাতে শুরু করেন অভিভাবকরা। অন্যদিকে এই ঘটনার পরেই নড়েচড়ে বসেছে স্থানীয় চাপড়া ব্লকের শিশু সংহতি বিকাশ দপ্তর। ঘটনার তদন্ত শুরু করে দেখা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।
