shono
Advertisement
Howrah

রবিনসন স্ট্রিটের ছায়া দাসনগরে, দিনের পর দিন মায়ের পচাগলা দেহ আগলে ছেলে!

স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, মা ও ছেলেকে গত ১৫ দিন ধরে দেখা যায়নি।
Published By: Suhrid DasPosted: 09:19 PM Feb 16, 2025Updated: 09:19 PM Feb 16, 2025

অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: এবার কলকাতার রবিনসন স্ট্রিটের ছায়া হাওড়ার দাসনগরের বালিটিকুরিতে। দোতলা বাড়ির একতলায় বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার প্রৌঢ়ার পচন ধরা মৃতদেহ। ওই বাড়িতেই মায়ের মৃতদেহ আগলে ছিলেন তাঁর বছর ত্রিশের ছেলে। রবিবার সন্ধ্যায় ওই ঘটনা জানাজানি হয়। দাসনগর থানার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। অন্তত পাঁচদিন আগে ওই প্রৌঢ়া মারা গিয়েছেন বলে পুলিশের অনুমান। 

Advertisement

মৃত ওই প্রৌঢ়ার নাম রাসমণি নন্দী(৬৫)। তাঁর একমাত্র ছেলে সুরজ নন্দীর সঙ্গেই তিনি ওই দোতলা বাড়িতে থাকতেন। জানা গিয়েছে, এদিন সকাল থেকেই বালিটিকুরির জেলেপাড়ায় ওই বাড়ির আশেপাশে পচা গন্ধ বেরতে থাকে। প্রতিবেশীদের মধ্যে তখন থেকেই সন্দেহ বাড়ছিল। ওই বাড়ির চারদিকে অনেক মাছিও উড়তে দেখা যাচ্ছিল কয়েক দিন ধরে। এদিকে বাড়ির দরজা-জানলাও ভিতর থেকে বন্ধ হয়।

প্রতিবেশীরাই রাসমণি দেবীর আত্মীয়দের খবর দেন। দাসনগর থানাতেও বিষয়টি জানানো হয়। পুলিশ গিয়ে দরজা ভেঙে ওই বাড়ির ভিতর ঢোকে। দরজা ভাঙতেই কটু গন্ধের পরিমাণ আরও তীব্র হয়। একতলার ঘরে দেখা যায় ওই বিভৎস্য দৃশ্য। খাটের উপর মরে পড়ে আছেন ওই মহিলা। শরীরের একাধিক জায়গায় পচন ধরেছে। এরপরেই দোতলায় উঠে যান পুলিশ কর্মীরা। দেখা যায় দোতলার একটি ঘরে রয়েছেন ছেলে সুরজ নন্দী।

জানা গিয়েছে, মা ও ছেলে দুজনেই মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। সুরজ কোনও কাজকর্ম করতেন না। মাঝেমধ্যে বাজার, দোকান করতে বাইরে বেরতেন। মা-ছেলে সেভাবে কারও সঙ্গে মেলামেশা করতেন না। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, মা ও ছেলেকে গত ১৫ দিন ধরে দেখা যায়নি। এর মধ্যেই কোনও দিন অসুস্থতার কারণেই ওই মহিলা মারা গিয়েছেন। এই কথাই প্রাথমিকভাবে মনে করছেন তদন্তকারীরা। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ছেলেকেও উদ্ধার করা হয়েছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • এবার কলকাতার রবিনসন স্ট্রিটের ছায়া হাওড়ার দাসনগরের বালিটিকুরিতে।
  • দোতলা বাড়ির একতলায় বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার প্রৌঢ়ার পচন ধরা মৃতদেহ।
  • ওই বাড়িতেই মায়ের মৃতদেহ আগলে ছিলেন তাঁর বছর ত্রিশের ছেলে।
Advertisement