সৈকত মাইতি, তমলুক: অবসরপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সরকারি আধিকারিককে ডিজিটাল অ্যারেস্ট! তার কাছ থেকে ৪৫ লক্ষ ৭০ হাজার হাতিয়ে নিল প্রতারক। এই ঘটনায় তমলুকে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। সাইবার প্রতারণার পর থেকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ওই আধিকারিক।
তমলুকের পার্বতীপুর এলাকার বাসিন্দা অরূপ কুমার মাইতি। যিনি প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অধীনস্থ একটি সংস্থায় জেনারেল ম্যানেজার পদে কর্মরত ছিলেন। গত ১৪ জানুয়ারি, সকাল প্রায় সাড়ে দশটা নাগাদ অবসরপ্রাপ্ত ওই আধিকারিকের ফোনে একটি অজ্ঞাত পরিচয় নম্বর থেকে হোয়াটসঅ্যাপ কল আসে। মুম্বই পুলিশের ডিসিপি ক্রাইম ব্রাঞ্চ থেকে ফোন করা হয়েছে বলে জানিয়ে তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে একাধিক আর্থিক লেনদেনে দুর্নীতি এবং মাদক পাচার-সহ অভিযোগ রয়েছে বলে জানানো হয়। এবং তৎক্ষণাৎ মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশিকা জারি করে ডিজিটাল অ্যারেস্ট করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়।
মুম্বই পুলিশ, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরের আধিকারিক পরিচয় দিয়ে লাগাতার মানসিক চাপ তৈরি করা হয় তাঁর উপর। পরিস্থিতি এমন তৈরি হয় যে শৌচালয়ে যাওয়ার সময়ও প্রতারকদের অনুমতি নিতে হয় তাঁকে। আর সেই সময় দফায় দফায় অরূপবাবুর কাছ থেকে ৪৫ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। অবশেষে জেলা সাইবার থানার পুলিশের দ্বারস্থ হন তিনি। এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার সৌম্যদীপ ভট্টাচার্য জানান, ডিজিটাল অ্যারেস্ট করে এমন প্রতারণা এই প্রথম ঘটেছে। সবদিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। উল্লেখ্য, এর আগে কালনায় এক সর্বহারা সন্ন্যাসীকে ডিজিটাল অ্যারেস্ট করা হয়। তবে তাঁর কাছে কিছু নেই বোঝার পর অবশেষে আশীর্বাদ চেয়ে ফোন কেটে দেয় প্রতারক।