জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: জায়ের বাবাকেই নিজের বাবা সাজিয়ে এসআইআরে নাম তোলার অভিযোগ বিজেপি নেত্রী মমতা মণ্ডলের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগ নিয়েই আজ মঙ্গলবার মহকুমাশাসকের দ্বারস্থ হলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। শুধু তাই নয়, এই ঘটনায় অভিযোগও দায়ের হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনা খতিয়ে দেখছে স্থানীয় প্রশাসন। প্রায় শেষলগ্নে বাংলায় এনুমারেশন ফর্ম ফিলআপ সংক্রান্ত কাজ। এর মধ্যেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে হুলস্থূল কাণ্ড জেলাজুড়ে। শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক। শাসকদল তৃণমূলের অভিযোগ নিয়ে রীতিমতো অস্বস্তিতে শাসকদল।
মমতা মণ্ডল বনগাঁ ব্লকের ধর্মপুকুরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সবাইপুর ৯৫/৬৮ বুথের বিজেপি সদস্যা। স্থানীয় তৃণমূল কর্মী ইমরান মন্ডল বলেন, ''আমরা বিএলএ-২ এর মাধ্যমে জানতে পেরেছি, ধর্মপুকুরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সবাইপুরের বাসিন্দা মমতা মণ্ডল তাঁর জা-এর বাবা গৌরাঙ্গ চৌধুরীকে নিজের বাবা সাজিয়ে এসআইআর তালিকায় নাম তোলার জন্য আবেদন করেছেন।'' ওই তৃণমূল নেতার কথায়, গৌরাঙ্গ চৌধুরী পানচিতার বাসিন্দা। অন্য পরিবারের লোক। এরপরেও কীভাবে ওই বিজেপি নেত্রী এই কাণ্ড ঘটালেন তা নিয়ে প্রশ্ন ইমরানের।
অবিলম্বে ভোটার তালিকা থেকে মমতা মণ্ডলের নাম বাদ দেওয়ার আবেদন জানিয়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। শুধু তাই নয়, বিজেপি নেত্রীর সদস্যপদ খারিজ করার আবেদনও জানিয়েছেন। ইমরান বলেন, ''ইতিমধ্যে এই ব্যাপারে আমরা বনগাঁ মহকুমাশাসক ERO এর কাছে অভিযোগ জানিয়েছি।'' অন্যদিকে ঘটনা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন মমতাদেবী। তাঁর পালটা দাবি, ''আমি বিজেপি সদস্য, তাই বিরোধী দল চক্রান্ত করছে। পঞ্চায়েতে কোনও কাজ করতে দেওয়া হয় না।'' তবে ২০০২ এর ভোটার তালিকায় যে নাম নেই তা মেনে নিয়েছেন ওই বিজেপি নেত্রী। তিনি বলেন, ''আমার ২০০২ সালের তালিকায় নাম নেই। কিন্তু আমার বাবার পরিচয় ঠিক আছে।''
মহকুমা শাসকের কাছে জমা দেওয়া তৃণমূলের অভিযোগ।
এই প্রসঙ্গে ধর্মপুকুরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূল নেতা তাপস মণ্ডল বলেন, ''মমতা মণ্ডল অন্য একজনকে বাবা সাজিয়ে এসআইআরে ফর্ম পূরণ করেছেন। অন্যকে নিজের বাবা পরিচয় দিয়ে ম্যাপিং করার চেষ্টা করছেন।'' অন্যদিকে এই বিষয়ে বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি বিকাশ ঘোষ জানান, ''মমতা মণ্ডল ঠিক কিনা তা এসআইআরে প্রমাণ করবে। অবজেকশন করেছে কে? টিএমসি! এতে তৃণমূলের নাক না গলানোই ভালো।'' বিজেপি অসৎ কাজ করবে এটা বিজেপির সংস্কৃতি নয় বলেও মন্তব্য বিজেপি নেতার।
