অর্ণব দাস, বারাসত: দলের পদত্যাগের নির্দেশ অমান্য করে পদ আঁকড়ে বসেছিলেন। তার শাস্তিও পেতে হল। বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল শেঠকে শোকজের চিঠি পাঠাল বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল। চিঠিতে দলীয় নির্দেশ অন্যান্য করার কারণ জানতে চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তাঁকে পদত্যাগের জন্য সাতদিনের সময়সীমাও বেঁধে দেওয়া হয়েছে। অন্যথায়, গোপাল শেঠের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বাধ্য থাকবে বলে জানিয়েছে দল।
বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যানকে শোকজ চিঠি তৃণমূলের।
প্রসঙ্গত, চাহিদা অনুযায়ী নাগরিক পরিষেবা দিতে ব্যর্থতা-সহ জলযন্ত্রণা নিয়ে শহরের বাসিন্দাদের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। কয়েকমাস আগে তৃণমূলের ভোটকুশলী সংস্থার সমীক্ষার রিপোর্টে এমনটাই উঠে আসে। সঙ্গে গত লোকসভা নির্বাচনে বনগাঁ পুরসভার ২২টি ওয়ার্ডের সবকটিতেই তৃণমূলের হারের কারণও সামনে এসেছে। এসবের জেরে বনগাঁ পুরসভায় চেয়ারম্যান বদলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল। সেইমতো শুক্রবার চেয়ারম্যান গোপাল শেঠকে চেয়ারম্যানের পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছিল রাজ্য নেতৃত্ব। কিন্তু দলীয় নির্দেশের মান্যতা দেননি গোপাল। পাঠাননি ইস্তফাপত্র।
এরপরেই শনিবার দুপুরে বনগাঁ জেলা তৃণমূলের পার্টি অফিসে কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠক করেন সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস। উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের ১৯ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ১৭ জন। বৈঠকে তৃণমূলের সব কাউন্সিলররা দলের নির্দেশের পক্ষেই ছিলেন। বৈঠকের শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দলের জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস বলেন, ''গোপাল শেঠের কাছে দলের নির্দেশ অমান্য করার কারণ জানতে চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। দলের রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করেই পদত্যাগের জন্য সাতদিনের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। ১৫ নভেম্বরের মধ্যে পদত্যাগ না করলে দল কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বাধ্য হবে।''
যদিও এনিয়ে এদিন কিছু বলতে চাননি গোপাল শেঠ। এদিকে, শুক্রবার বারাসত পুরসভার চেয়ারম্যান পদ থেকে অশনি মুখোপাধ্যায় পদত্যাগের পর সুনীল মুখোপাধ্যায়কে চেয়ারম্যান হিসাবে মনোনীত করেছেন কাউন্সিলররা। জানা গিয়েছে, সোমবার দুপুরে নব নির্বাচিত চেয়ারম্যানকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন মহাকুমাশাসক সোমা দাস।
