shono
Advertisement

প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়েই সব শেষ, বিদ্যুতের তারে পা জড়িয়ে বাঁকুড়ায় মৃত ২

বেশ কয়েকদিন আগে ঝড়ে ওই বিদ্যুতের তারটি ছিঁড়ে পড়েছিল।
Posted: 10:18 AM Jul 02, 2022Updated: 10:18 AM Jul 02, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শরীর ঠিক রাখতে রোজ ভোরে হাঁটার পরামর্শ দিয়েছিলেন চিকিৎসক। সেই অনুযায়ী হাঁটতে বেরনোই কাল। শেষ পর্যন্ত প্রাণও দিতে হল এক মহিলা। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে আরও একজনের। ঝড়বৃষ্টির পরদিনই বাঁকুড়ার (Bankura) ২ নম্বর ব্লকের ভূতশহর গ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণহানি হয় তাঁদের। এই ঘটনায় এলাকায় নেমেছে শোকের ছায়া।

Advertisement

জানা গিয়েছে, নিহতেরা হলেন পার্বতী ঘোষ এবং অনন্ত ঘোষ। প্রায় প্রতিদিনই হাঁটতে বেরোন পার্বতী ঘোষ। শনিবারও তার অন্যথা হয়নি। তবে এদিন ঘটল বিপত্তি। কয়েকদিন আগে ঝড়বৃষ্টিতে ছিঁড়ে পড়া বিদ্যুতের তারে পা জড়িয়ে যায় মহিলার। সেটি স্পর্শ করতেই সব শেষ। ওই মহিলা মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। সেই সময় অনন্তবাবুও যাচ্ছিলেন। পার্বতী দেবীকে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে এগিয়ে যান তিনি। মহিলাকে স্পর্শ করা মাত্রই তড়িদাহত হন অনন্ত ঘোষও। তিনিও রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন।

[আরও পড়ুন: পয়গম্বরকে ‘অসম্মান’! ভেঙে ফেলা হল স্যামসংয়ের বিলবোর্ড, অগ্নিগর্ভ পাকিস্তানের করাচি]

এরপর স্থানীয়রা জড়ো হয়ে যান। লাঠি দিয়ে কোনওরকমে তার সরানো হয়। দু’জনকে উদ্ধার করে বাঁকুড়া সম্মেলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁদের। তবে শেষরক্ষা হয়নি। চিকিৎসকরা জানান, মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। স্থানীয়দের দাবি, ঝড়বৃষ্টি হলেই এলাকায় বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে যায়। তা সত্ত্বেও বিদ্যুৎ দপ্তর উদাসীন। তার ছিঁড়ে যাওয়ার বিষয়টিতে তারা নজরই দেয় না। সে কারণেই এত বড় বিপদ ঘটে গেল। বিদ্যুৎ দপ্তরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নিহতদের পরিবারের সদস্যরাও।

উল্লেখ্য, গত ২৬ জুন বৃষ্টিবাদলার মাঝে জমা জলে বিপত্তি ঘটে। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ যায় এক কিশোরের। হরিদেবপুরের চাঁদের বিলে কেইআইআইপির কাজ চলছে। ফলে একটু বৃষ্টি হলে রাস্তায় জল দাঁড়িয়ে যায়। ওইদিন সন্ধে ৬টা নাগাদ টিউশন থেকে ফেরার পথে চাঁদার বিলের কাছে জমা জল পার হতে গিয়ে ল্যাম্পপোস্টে হাত লাগে ছেলেটির। সঙ্গে সঙ্গে ছিটকে জলে পড়ে যায়। অনেকক্ষণ জলে পড়ে থাকে। বিদ্যুস্পৃষ্ট হওয়ার ভয়ে জমা জলে কেউ নামতে চায়নি। পরে পুলিশ ও সিইএসসি এসে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে বালকটিকে তুলে এম আর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসকরা মৃত বলে জানায়। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই বাঁকুড়ার এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই হতাশ প্রায় সকলে।

[আরও পড়ুন: ‘জোর করে সাঁতারের ক্লাসে নিয়ে না আসলেই হত’, আক্ষেপ হাওড়ায় সুইমিং পুলে ডুবে মৃত শিশুর মায়ের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement