shono
Advertisement

প্রয়াত রেজাউলের পরিবর্তে দাঁড়াতে নারাজ স্ত্রী, সামশেরগঞ্জে নয়া প্রার্থী বাছল কংগ্রেস

গত ১৫ এপ্রিল করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিলেন রেজাউল হক।
Posted: 09:41 PM Apr 24, 2021Updated: 09:41 PM Apr 24, 2021

শাহাজাদ হোসেন, মুর্শিদাবাদ: করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিলেন সামশেরগঞ্জের কংগ্রেসের (Congress) প্রার্থী রেজাউল হক। এরপরই প্রার্থী হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছিল তাঁর স্ত্রী রোকেয়া খাতুনকে। কিন্তু তিনিও শেষপর্যন্ত ভোটে দাঁড়াতে রাজি না হওয়ায় এবার নয়া প্রার্থীর নাম ঘোষণা করল কংগ্রেস। জঙ্গিপুর লোকসভার তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ খলিলুর রহমানের ভাই জইদুর রহমানকে সামশেরগঞ্জে প্রার্থী করা হল। শনিবার কংগ্রেসের পক্ষ থেকে তাঁর নাম ঘোষণা করা হয়েছে।

Advertisement

এর আগে গত ১৫ এপ্রিল করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিলেন কংগ্রেসের ঘোষিত প্রার্থী রেজাউল হক। এরপরই কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছিল প্রয়াত রেজাউল হকের স্ত্রী রোকেয়া খাতুনকে। স্বামী ১৫ এপ্রিল করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। শ্বাশুড়ি মাও করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভরতি। এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে ভোটে দাঁড়াতে রাজি হননি রোকেয়া খাতুন। ফলে প্রার্থী নিয়ে নতুন করে জটিলতা সৃষ্টি হয় সামশেরগঞ্জ কংগ্রেসের মধ্যে। এদিকে, মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ আগামী ২৫ শে এপ্রিল। এই পরিস্থিতিতে শেষপর্যন্ত তড়িঘড়ি প্রার্থী হিসেবে জঙ্গিপুর লোকসভার তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ খলিলুর রহমানের ভাই জইদুর রহমানকে বেছে নিল কংগ্রেস। প্রসঙ্গত, এই সামশেরগঞ্জ আসনেই শুধুমাত্র সংযুক্ত মোর্চার জোট হয়নি। সংযুক্ত মোর্চার সিপিআইএম প্রার্থী মোদাস্সর হোসেনের বিরুদ্ধে প্রার্থী দিয়ে জোটে জট সৃষ্টি করে কংগ্রেস।

ক্ংগ্রেসের নতুন প্রার্থী জইদুর রহমান

[আরও পড়ুন: নিরপেক্ষ ভোটের আবেদন, নির্বাচন শেষে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছেন মমতা]

আগামী ১৬ মে সামশেরগঞ্জ বিধানসভার নির্বাচন। যদিও ২৬ এপ্রিল অর্থাৎ সপ্তম দফায় সামশেরগঞ্জ (Samsherganj) আসনে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রেজাউল হকের মৃত্যুতে নিয়ম মেনে বাতিল করতে হয় সামশেরগঞ্জ কেন্দ্রের নির্বাচন। অন্যদিকে, জঙ্গিপুর কেন্দ্রেও ২৬ এপ্রিলই ভোট হওয়ার কথা ছিল। এই কেন্দ্রেও থাবা বসায় করোনা। ১৬ এপ্রিল মৃত্যু হয় এই কেন্দ্রের সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী তথা আরএসপির (RSP) লোকাল কমিটির সম্পাদক প্রদীপ নন্দীর। যথারীতি ওই কেন্দ্রেও ভোট পিছিয়ে দিতে হয়। এরপর নতুন করে ১৩ মে ওই দুই কেন্দ্রে ভোটের দিন ঘোষণা করা হয়। যা কিনা সম্ভাব্য ইদের দিন। এই নিয়ে এলাকায় অসন্তোষ সৃষ্টি হয়। উপনির্বাচনের দিন বদলে দেওয়ার দাবিতে সরব হন স্থানীয়দের একাংশ। অনেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভোট বয়কটেরও দাবি জানান। ভোটের নতুন দিন নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কংগ্রেসের তরফে ভোট বাতিলের দাবিতে কমিশনে চিঠি দেওয়া হয়। চিঠি দেওয়া হয় AIMIM-এর তরফেও। বিভিন্ন দলের আপত্তিতেই ওই দুই কেন্দ্রে ভোট ৩ দিন পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। তবে, ভোটগণনার দিনে কোনও পরিবর্তন করা হয়নি।

[আরও পড়ুন: দিলীপ ঘোষ ও মিঠুনের সভায় পাঁচশোর বেশি জমায়েত, বিধিভঙ্গের অভিযোগ তুলে সরব তৃণমূল]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement