নিরুফা খাতুন: নভেম্বর থেকে যে গতিতে এগিয়ে আসছিল শীতকাল, ডিসেম্বরে সেই গতি যেন অনেকটাই থমকে গেল। পশ্চিমী ঝঞ্ঝা, ঘূর্ণিঝড়, কুয়াশার ত্রিফলা রাজ্যে শীত প্রবেশের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াল। ডিসেম্বরের প্রথম দিন তাপমাত্রার পারদ একটু ঊর্ধ্বমুখী। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস বলছে, আপাতত শীতের আমেজে কিছুটা বাধা। উপকূল ও উপকূল সংলগ্ন জেলাগুলিতে মেঘলা আকাশের কারণে বাড়ল রাতের তাপমাত্রা। এদিকে, ঘূর্ণিঝড় ফেনজলের প্রভাবে এদিনও উপকূলীয় জেলাগুলিতে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা।
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, স্থলভাগে ঢুকে শক্তি হারিয়েছে ঘূর্ণিঝড় ফেনজল। অতি গভীর নিম্নচাপ রূপে পশ্চিম দিকে এগোচ্ছে। উত্তর তামিলনাড়ু এবং পুদুচেরি উপকূল এলাকায় তার অবস্থান। এর প্রভাবে অঝোর বর্ষণে প্রায় তছনছ দক্ষিণ ভারতের উপকূলীয় এলাকা। রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলাগুলিও শনিবার বৃষ্টিতে ভিজেছে। রবিবারও হালকা বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর ঝাড়গ্রাম ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাতে। এছাড়া গোটা দক্ষিণবঙ্গে আংশিক মেঘলা আকাশ ও হালকা বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা।
উত্তরবঙ্গে সকালের দিকে কুয়াশার হালকা চাদর থাকবে দার্জিলিং এবং উত্তর দিনাজপুর জেলায়। জলপাইগুড়ি, দক্ষিণ দিনাজপুর ও মালদা জেলায়ও কুয়াশার সম্ভাবনা। তবে আপাতত ঘন কুয়াশার সতর্কবার্তা নেই কোথাও। বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা সকালের দিকে থাকলেও বেলা বাড়লে পরিষ্কার আকাশ সর্বত্র। আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রার পরিবর্তনের সম্ভাবনা খুব একটা নেই। দু-এক ডিগ্রি তাপমাত্রা কমতে পারে। সপ্তাহের শেষে নতুন করে পারদ পতনের সম্ভাবনা। শুরু হতে পারে শীতের স্পেলের। এমনই ইঙ্গিত আবহাওয়া দপ্তরের।
এদিকে কলকাতায় আংশিক মেঘলা আকাশ। বেলা বাড়লে আবহাওয়ার পরিবর্তন। সামান্য কমেছে রাতের তাপমাত্রা। তবে এখনও স্বাভাবিকের উপরেই পারদ। মেঘলা আকাশ বৃষ্টির কারণে দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় ৭ ডিগ্রি নিচে। তবে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস, ধীরে ধীরে কমবে তাপমাত্রা। সপ্তাহের শেষে শীতের আমেজ ফেরার ইঙ্গিত। রবিবার কলকাতার সর্বনিম্ন উষ্ণতা ১৯.১ ডিগ্রি। গতকাল দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২২ ডিগ্রি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বা আপেক্ষিক আর্দ্রতা ৬৮ থেকে ৯১ শতাংশ।