নিরুফা খাতুন: শীতের হাওয়ায় নাচন বেশ ভালোই লেগেছে! কুয়াশাঘেরা সকালে তীব্র হিমেল হাওয়ায় কাঁপন বেশ টের পাওয়া যাচ্ছে কলকাতা ও আশপাশের জেলাগুলিতে। এমনকী সূর্যের ঘুমও যেন ভাঙছে খানিক দেরিতে। কুয়াশার চাদর ভেদ করে পৃথিবীর বুকে রোদ্দুর ছড়িয়ে দিতে খানিক বিলম্ব হচ্ছে। তবে রোদ উঠলে ঠান্ডার বোধ তীব্রতর হচ্ছে। সব দেখেশুনে আবহাওয়াবিদরা নিশ্চিত, চলতি সপ্তাহে দক্ষিণবঙ্গে ঝোড়ো ইনিংস খেলবেই শীত। কলকাতায় আপাতত তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে ওঠার সম্ভাবনা খুবই কম। পশ্চিমের জেলাগুলিতে আপাতত ১০ থেকে ১২ ডিগ্রির মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। তবে তা দশের নিচেও নেমে যেতে পারে।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, আপাতত কোনও ঘূর্ণাবর্ত, নিম্নচাপের আশঙ্কা নেই। উত্তুরে হাওয়ার পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে না কেউ। ফলে জাঁকিয়ে শীতের জন্য অপেক্ষা নয়, এখনই তা উপভোগ করতে পারবেন বঙ্গবাসী। সপ্তাহের প্রথম দিন থেকে দক্ষিণবঙ্গে দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের বেশ খানিকটা নিচে, সপ্তাহান্তে তাপমাত্রার পারদ আরও খানিকটা নিম্নমুখী হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছেন আবহবিদরা। ফল আরও উপভোগ্য হয়ে উঠবে শীতকাল। কলকাতা ও সংলগ্ন জেলাগুলিতে বেশ শীতল পরিবেশেই বড়দিন কাটবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে, উত্তরবঙ্গে হাড়হিম ঠান্ডা। দার্জিলিংয়ের পার্বত্য অঞ্চলে সোমবার তাপমাত্রা ছিল ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। মঙ্গলবার তা আরও কিছুটা কমে দাঁড়াল ৪.৫ ডিগ্রিতে। এছাড়া উত্তরবঙ্গে অন্যান্য জেলায় তাপমাত্রার পারদ ঘোরাফেরা করছে ৯ থেকে ১০ ডিগ্রির মধ্যে। তবে ঠান্ডা আরও বেশি অনুভূত হচ্ছে কনকনে হাওয়ার কারণে। এছাড়া কুয়াশার জন্য এসব এলাকায় দৃশ্যমানতাও অনেকটা কম। দার্জিলিংয়ের কোথাও কোথাও তা ২০০ মিটার পর্যন্ত নেমে এসেছে বলে আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা যাচ্ছে। পাহাড়ি পথে যাতায়াত করা যানবাহনকে এ বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। বিশেষত পর্যটকদের গাড়িগুলিকে সাবধান চড়াই-উতরাই পেরনোর কথা বলা হচ্ছে।
