সুদীপ রায়চৌধুরী: একসঙ্গে ১২ রাজ্যে ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধন বা এসআইআরের কাজ শুরু হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। এই মুহূর্তে বাড়ি বাড়ি এনুমারেশন ফর্ম বিলির কাজ চলছে। মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর থেকে বিএলও-রা গিয়ে এই কাজ করছেন। পরিসংখ্যান বলছে, এসআইআরের কাজেও 'এগিয়ে বাংলা'। শনিবার পর্যন্ত অর্থাৎ পাঁচদিনে ৪৫ শতাংশ ফর্ম বিলি করা হয়ে গিয়েছে বঙ্গে। তুলনায় ঢের পিছিয়ে বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলি। বিশেষত উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশে ১০ শতাংশ কাজও হয়নি বলেই জানা গিয়েছে কমিশনের রিপোর্টে।
৪ নভেম্বর থেকে এসআইআর প্রক্রিয়ায় এনুমারেশন ফর্ম বিলি শুরু হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ইতিমধ্যে বাংলায় ৪৫ শতাংশ ফর্ম বিলি করা হয়ে গিয়েছে। সেখানে উত্তরপ্রদেশে এই হার মাত্র ৬.৩২ শতাংশ, মধ্যপ্রদেশে ৭.৩৭ এবং ছত্তিশগড়ে ৯.৯৭ শতাংশ। উল্লেখ্য, এই তিনটি রাজ্যই বিজেপিশাসিত। কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপিই রাজ্যগুলিতে বিধানসভা ভোটের আগে তড়িঘড়ি বিশেষ নিবিড় সংশোধন বা এসআইআর কার্যত চাপিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগে সরব হয়েছে বিরোধী দলগুলি, কার্যক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, সেসব রাজ্যই পিছিয়ে। পশ্চিমবঙ্গের ধারেকাছেও নেই। অথচ বাংলার সরকার এসআইআর করতে বাধা দিয়েছে বলে বিজেপি প্রায়শয়ই অভিযোগ তুলেছে। নির্বাচন কমিশনের দেওয়া পরিসংখ্যানে অবশ্য স্পষ্ট, সেই অভিযোগ একেবারে ভিত্তিহীন।
কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী, আন্দামান-নিকোবর, পুদুচেরির মতো কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি এসআইআরের কাজে অনেকটা এগিয়ে। আন্দামান-নিকোবর ৫১.০৯ শতাংশ, পুদুচেরিতে ৮৭.৭৫ শতাংশ, লাক্ষাদ্বীপে ২৯.৩৫ শতাংশ ফর্ম বিলির কাজ শেষ। অন্যদিকে, বিজেপিশাসিত হলেও গোয়ায় কাজ হয়ে গিয়েছে ৮৯.৪৬ শতাংশ। তবে এই সবকটি রাজ্যেই জনসংখ্যা পশ্চিমবঙ্গের তুলনায় অনেকটা কম। তাই বাড়ি বাড়ি ফর্ম বিলির কাজ হয়েছে দ্রুত।
