শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: একটি ঘরে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলছেন মা। পাশের ঘরে মোবাইলে ব্যস্ত মেয়ে। এমনই মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী জলপাইগুড়ি শহরের আশ্রমপাড়া। ওই ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাঁর মৃত্যুতে কেউ দায়ী নয় বলেই সুইসাইড নোটে উল্লেখ করেছেন আত্মঘাতী মহিলা, দাবি তদন্তকারীদের।
জানা গিয়েছে, মৃত রত্না সরকার, পোস্ট অফিস কর্মী ছিলেন। বছর কয়েক আগে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয় তাঁকে। চাকরি হারানোর পর থেকেই তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। রবিবার বিকেলে নিজের ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন রত্নাদেবী। দরজা ধাক্কা দিলেও কোনও সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি তাঁর। এরপর পরিবারের সদস্যরা ওই ঘরের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকেন।
[আরও পড়ুন: ‘কলকাতায় আসছেন মিঠুনদা, যাবেন বিজেপি পার্টি অফিসেও’, দাবি সুকান্ত মজুমদারের]
অবাক হয়ে যান সকলেই। দেখেন, ঘরে ঝুলছে রত্নাদেবীর দেহ। তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় পুলিশ। কোতোয়ালি থানার পুলিশ মহিলার দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। ওই ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোটও পাওয়া গিয়েছে। তদন্তকারীদের দাবি, সুইসাইড নোটে রত্নাদেবী লিখে গিয়েছেন তাঁর মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়।
যে ঘরে আত্মহত্যা করেন মহিলা, তার পাশের ঘরেই ছিলেন তাঁর মা। সেই সময় মোবাইলে ব্যস্ত ছিলেন তিনি। মায়ের মৃত্যু কীভাবে টের পেলেন না তিনি, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঠিক কী কারণে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিলেন ওই মহিলা, তাও তদন্তসাপেক্ষ বলেই মনে করছে পুলিশ। চাকরি হারানোর ফলে আর্থিক টানাপোড়েনে ভুগছিলেন কিনা, তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।