অত্যাচার করেন স্বামী, রেহাই পেতে দুই সন্তানকে কোলে নিয়ে ট্রেনের সামনে ঝাঁপ মহিলার

01:51 PM Aug 15, 2022 |
Advertisement

সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: স্বাধীনতা দিবসের সকালে মর্মান্তিক ঘটনা। নিজের স্বাধীনতা খুঁজতে অবশেষে দুই সন্তানকে নিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন এক মহিলা। স্বামীর অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচতেই আত্মহত্যা করেছেন বলে স্থানীয়দের দাবি। ঘটনাটি ঘটেছে পানাগড় স্টেশন সংলগ্ন ১০২ নম্বর রেল সংলগ্ন অনুরাগপুরের কাছে রেল লাইনের উপর।

Advertisement

বছর তিরিশের সীমা পণ্ডিতের বেশ কয়েক বছর আগে বিয়ে হয়। দুই সন্তানের মা তিনি। বছর আটেকের প্রীতম এবং তার থেকে দু’বছরের ছোট প্রেমকে নিয়ে বুদবুদ থানার ধরলা মোড়ে থাকতেন গৃহবধূ। নিত্যদিন সীমার স্বামী মদ্যপান করে বাড়ি ফিরত। অভিযোগ, স্ত্রীকে বেধড়ক মারধর করত সে। রবিবার সন্ধেয় বাড়ি ফিরে স্বামী তাঁকে মারধর করে। স্বামীর অত্যাচারের হাত থেকে রেহাই পেতেই ওই মহিলা রাতের অন্ধকারে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। সঙ্গে ছিল তাঁর দুই সন্তান।

[আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসে রেড রোডে মুখ্যমন্ত্রীকে গার্ড অফ অনার, দুর্গাপুজোর ট্যাবলো প্রদর্শন]

দুই ছেলেকে নিয়ে ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দেন তিনি। সোমবার ভোরে এলাকার মানুষ মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। রেল পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। রেলপুলিশের অনুমান, আত্মঘাতীই হয়েছেন ওই মহিলা। তবে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে আসার অপেক্ষায় তদন্তকারীরা। কী কারণে আত্মঘাতী হলেন ওই মহিলা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।  

Advertising
Advertising

পুলিশ ওই মহিলার স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। যদিও অশান্তির কথা মানতে নারাজ সীমার স্বামী। তার পালটা দাবি, স্বামী-স্ত্রীর সঙ্গে সামান্য ঝগড়াঝাটি হত ঠিকই। তবে তেমন কোনও গুরুতর বিষয়ে অশান্তি হত না। কোনওদিনই স্ত্রীকে মারধর করেনি বলেও দাবি তার। 

[আরও পড়ুন: বীরভূমে দলের কাজ চলবে আগের মতোই, কেষ্টর আসন ফাঁকা রেখে সিদ্ধান্ত তৃণমূলের]

Advertisement
Next