shono
Advertisement

ফিরে দেখা ২০২১: করোনা কালে সম্পত্তি বাড়ল কাদের? ‘বাড়ন্ত’কার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার?

মহামারীতেও বর্ধমান ধনকুবেরদের সম্পদের পরিমাণ!
Posted: 08:21 PM Dec 27, 2021Updated: 04:58 PM Dec 28, 2021

করোনা কালে সভ্যতার সবচেয়ে বড় বিপর্যয়ে পড়েছে মানুষ। বদলে গেছে পৃথিবীর অর্থনীতির গতিপ্রকৃতি। সেই সংকটের মধ্যেই ফুরোলো আরও একটা বছর। এতসব চ্যালেঞ্জ সামলেও ২০২১-এ আরও ধনী হলেন কোন বিজনেস টাইকুন, অভিনেতা, খেলোয়াড়, রাজনীতিবিদরা ? সম্পদের পরিমাণ খানিক কমায় কারা হলেন কিছুটা ‘গরিব’? রইল সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক-এর প্রতিবেদন।

Advertisement

একুশে সম্পত্তি বাড়ল যাঁদের: 

এলন মাস্ক
এই বিজনেস টাইকুনের সম্পত্তি বেড়েই চলেছে। ফোর্বসের গত এক বছরের ধনীদের তালিকায় শীর্ষে তিনি। বর্তমানে সম্পত্তির পরিমাণ ২২৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আমেরিকার টেক্সাসের বাসিন্দা এলন মাস্কের (Elon Musk) আয়ের সিংহভাগই প্রযুক্তি ক্ষেত্রে। দুই সংস্থা টেসলা এবং স্পেসএক্স মানেই তো এলন মাস্ক। বৈদ্যুতিক গাড়ির প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান টেসলার শেয়ারের দর বেড়েই চলেছে। এলনের কাছে আছে ৪২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের শেয়ার। টেসলা ছাড়াও রকেট সংস্থা স্পেসএক্স-এর প্রতিষ্ঠাতাও এলন মাস্ক। এছাড়াও আছে নিউরোলিঙ্ক, যে প্রকল্প মানুষের মস্তিষ্কের সঙ্গে কম্পিউটারকে যুক্ত করার কাজে রত। ব্যস্ত শহরের নীচে টানেল নির্মাণের জন্য এলন তৈরি করেছেন দ্য বোরিং কম্পানি।

জেফ বেজোস
ধনীদের তালিকায় এলনের ঠিক পরেই আছেন অনলাইন শপিং সংস্থা আমাজনের উদ্যোক্তা ও সিইও জেফ বেজোস (Jeff Bezos)। আমাজন ছাড়াও বেজোসের আয়ের উৎসের মধ্যে রয়েছে তাঁর আরও দুই প্রতিষ্ঠান ‘ব্লু অরিজিন’ এবং ‘দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট’। আমেরিকার সিয়াটল-এর বাসিন্দা বেজোসের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১৯৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। চলতি বছরের জুলাই মাসে নিজের সংস্থার তৈরি রকেট তথা মহাকাশ যান নিউ শেপার্ডে চড়ে মহাকাশে ঘুরে এসেছেন এই বিলিওনিয়ার বিজনেস ম্যান। সঙ্গে ছিলেন ভাই মার্ক বেজোসও। নিজের অভিজ্ঞতা প্রকাশ করতে গিয়ে জেফ আনন্দে চিৎকার করে উঠেছিলেন। বলেছিলেন, “সেরা দিন!”

বিল গেটস
ধনীদের তালিকায় উপরের দিকে থাকা অভ্যাস করে ফেলেছেন এই ভদ্রলোক। মহামারীও রুখতে পারেনি বিল গেটসকে (Bill Gates)। ফলে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতার সম্পদের পরিমাণ এখন ১৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তবে কিনা টেকনোলজি বিপ্লবের প্রথম দিকে বিশ্বের শীর্ষ ধনী তিনিই ছিলেন। পেছন থেকে এসে ওভারটেক করেছেন এলন, বেজোসরা। ১৯৭৫ সালে বিল গেটস ও পল এলেনের মাইক্রোসফট শুরু করা এক ঐতিহাসিক ঘটনা। ২০১৪ সাল পর্যন্ত মাইক্রোসফটের ম্যানেজিং ডিরেক্টর পদে ছিলেন বিল। এখন তিনি একজন বোর্ড সদস্য হিসেবে আছেন। তবে বহু রকম সামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকেন এই পৃথিবী বিখ্যাত বিজনেস টাইকুন।

মুকেশ আম্বানি
এশিয়ার ধনীতম ব্যক্তি রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের কর্ণধার মুকেশ আম্বানি (Mukesh Ambani)। চলতি বছরেই ১০০ বিলিয়ন ডলার ক্লাবের সদস্য হয়েছেন তিনি। অর্থাৎ কিনা জেফ বেজোস, এলন মাস্কদের মতো শীর্ষস্থানীয় ধনকুবেরদের মতোই তাঁর সম্পত্তির পরিমাণও ছাড়িয়েছে ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের গণ্ডি। ‘ব্লুমবার্গ বিলিওনেয়ার্স ইনডেক্স’-এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী মুকেশের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১০০.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এবছরই সম্পত্তি বেড়েছে ২৩.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। করোনাকালেই নিজের সম্পদের পরিমাণের ক্ষেত্রে নতুন মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলেছেন মুকেশ আম্বানি।

গৌতম আদানি
এখনও আম্বানি সাম্রাজ্যের পিছনে আছেন বটে, তবে জেট গতিতে এগোচ্ছেন গৌতম আদানি (Goutam Adani)। ২০২১ সালে যেখানে আম্বানির রোজগার বেড়েছে ৯ শতাংশ, সেখানে আদানির উপার্জন লাফিয়ে বেড়েছে ২৬১ শতাংশ। তাঁর সংস্থার বাজার মূলধন ৯ লক্ষ কোটি টাকা। পরিসংখ্যানের বিচারে, তিনি ১ লক্ষ কোটি টাকার পাঁচটি সংস্থার মালিক। এশিয়ার ধনীদের তালিকায় রিলায়েন্স কর্ণধারের পরেই রয়েছেন তিনি। ১৯৮৮ সালে আদানি গোষ্ঠী প্রতিষ্ঠা করেন গৌতম আদানি। তারপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি গুজরাতি এই শিল্পপতিকে। পণ্য ব্যবসায়ী হিসাবে জীবন শুরু করা গৌতম আদানি এখন শক্তি, সংস্থান, বন্দর, রসদ, কৃষিক্ষেত্র, রিয়েল এস্টেট, আর্থিক পরিষেবা, গ্যাস বিতরণ, প্রতিরক্ষা ব্যবসা, বিমানবন্দর ও অন্যান্য অনেকগুলি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত।

অক্ষয় কুমার
ফোর্বসের তালিকা অনুযায়ী ভারতীয় অভিনেতাদের মধ্যে চলতি বছরে সবচেয়ে বেশি আয় করেছেন আরব সাগরের তীরের ‘খিলাড়িও কা খিলাড়ি’। গত এক বছরে আয় করেছেন ১৮৫ কোটি টাকা। বলিউডের অন্য তারকাদের মতো অক্ষয় কুমারও (Akshay Kumar) করোনা তথা লকডাউনের জেরে একাধিক সমস্যার মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন। করোনার জেরে বিভিন্ন সময় তাঁর একাধিক ছবির শুটিং ধাক্কা খেয়েছে। যদিও শত বাধা ডিঙিয়ে অক্ষয়ের সম্পত্তির পরিমাণ বেড়েই চলেছে। সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী রাজেশ খান্নার জামাইরাজার সম্পদের পরিমাণ পৌঁছেছে ৩২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে।

শাহরুখ খান
মাদক কাণ্ডে ছেলে আরিয়ান খানের গ্রেপ্তারি, একের পর এক ফ্লপ ছবি। তারপর রয়েছে করোনার জেরে প্রবল লকডাউনের ধাক্কা, যার ফলে ধাক্কা খেয়েছে বলিউড, একাধিকবার বন্ধ করতে হয়েছে তাঁর নিজের ছবির শ্যুটিংয়ের কাজও। এতসব চ্যালেঞ্জ পার করেও তিনি শাহরুখ খান (Shahrukh Khan)। বলিউডের ‘বেতাজ বাদশা’। কার্যত ‘বাজিগর’-এর মতোই হাজারও বাধা টপকে বর্তমানে শাহরুখের প্রতিদিনের রোজগার গড়ে ৮০ হাজার মার্কিন ডলার। যার অনেকটাই অবশ্য বিভিন্ন এনডোর্সমেন্টের সূত্রে। ফলে যাঁরা ভাবছেন, পড়তির দিন চলছে কিং খানের, তারা ভুল ভাবছেন। শাহরুখ খানের বাড়ন্ত মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৬৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

বিরাট কোহলি
মোটের উপর সময়টা ভাল যাচ্ছে না। ব্যাট কথা বলছে না আগের মতো করে। এর মধ্যে টি-২০-র অধিনায়কত্ব নিজেই ছেড়েছিলেন। পরে হাতছাড়া হয়েছে একদিনের ম্যাচের নেতৃত্বও। যা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ভার্সেস বিরাট কোহলি (Virat Kohli) বিতর্কে সরগরম ভারতীয় ক্রিকেট। তার সঙ্গে অবশ্য রোজগেরে বিরাটের কোনও সম্পর্ক নেই। ক্রিকেট থেকে আয় তো আছেই। এছাড়াও হাজারো কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ তিনি। ফলে চলতি বছরেই আয় ২২৮.০৯ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। বর্তমান ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে সার্বিক সম্পদের নিরিখে তিনিই এগিয়ে। এই মুহূর্তে বিশ্বের তৃতীয় বিত্তবান ক্রিকেটার বিরাট। সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ৬৩৮ কোটি টাকা।

শচীন তেন্ডুলকর
বিশ্ব ক্রিকেটের আধুনিক ডন অবসর নিয়েছেন ২০১৩ সালে। অর্থাৎ মাঝখানে অতিক্রান্ত হয়েছে আট বছর। এরপরেও ক্রিকেট বিশ্বের ‘রাজা’ শচীনই (Sachin Tendulkar)। বিত্তের ক্ষেত্রেও। করোনাকালেও বদলায়নি চালচিত্র। চলতি বছরে শচীন তেন্ডুলকর আয় করেছেন ৭২.৫০ কোটি টাকা। খেলা ছাড়লেও শচীন তেন্ডুলকর এই মুহূর্তে শুধু ভারতেরই নয়, বিশ্বের সবথেকে ধনী ক্রিকেটারও। বিজ্ঞাপন ও নিজের একাধিক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত শচীন। শত সেঞ্চুরির মালিক জীবন্ত কিংবদন্তির সার্বিক সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ১০৯০ কোটি টাকা।

নরেন্দ্র মোদি
সাম্প্রতিক তথ্য বলছে ২২ লক্ষ টাকার সম্পত্তি বেড়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi)। তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৩.০৭ কোটি টাকা। গতবছর তাঁর সম্পত্তি ছিল ২.৮৫ কোটি টাকা। তা বেড়েছে ২২ লক্ষ টাকা। শেয়ারে কোনও বিনিয়োগ করেননি প্রধানমন্ত্রী। ৮.৯ লক্ষের ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট, দেড় লক্ষের জীবন বিমা রয়েছে তাঁর। তাছাড়া ২০১২ সালে ২০ হাজার টাকায় কিনেছিলেন লার্সেন অ্যান্ড টুবরো ইনফ্রাস্ট্রাকচরের বন্ড। স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার গান্ধীনগর শাখায় মেয়াদি আমানতের সুদ বাড়ায় সম্পত্তি বৃদ্ধি হয়েছে মোদীর।

একুশে সম্পত্তি কমল যাঁদের: 

ডোনাল্ড ট্রাম্প

প্রেসিডেন্টের পদ হারানোর পরেই ‘গরিব’ হন ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। ‘ফোর্বস’ প্রকাশিত আমেরিকার ধনীতম ৪০০ ব্যক্তির তালিকাতেও ঠাঁই হয়নি তাঁর। ২৫ বছরে এই প্রথম এই তালিকা থেকে বাদ পড়লেন তিনি। কেন এই অবস্থা রিয়েল এস্টেট মোঘলের? আসলে মহামারীর শুরু থেকেই তাঁর ব্যবসা ‘স্থবির’ হয়ে পড়ে। নিজের ‘স্থবির’ সম্পত্তি বেচতে নারাজ ট্রাম্পকে এর ফলে ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে। আর তার ফলশ্রুতিই এবার মার্কিন মুলুকের ধনকুবেরদের তালিকায় ঠাঁই হয়নি। ট্রাম্প আনুমানিক ২.৫ বিলিয়ন ডলারের মালিক, যা এই বছর ফোর্বসের সেরা ৪০০ তালিকায় থাকার জন্য ৪০০ মিলিয়ন ডলার কম ছিল।

জ্যাক মা
পিছোলেন আলিবাবা গ্রুপের কর্ণধার জ্যাক মা (Jack Ma)। তাঁকে সরিয়ে এবার চিনের ধনীতম ব্যক্তি হিসেবে উঠে এসেছেন মা হুয়াতেং। চিনা সংবাদ সংস্থা সূত্রে এমনটাই খবর। চিনা ইন্টারনেট সংস্থা টেনসেন্ট-এর কর্ণধার এই হুয়াতেং। এই টেনসেন্ট সংস্থাই জনপ্রিয় গেম পাবজি মোবাইলের মূল পাবলিশারও বটে। চলতি সপ্তাহেই জ্যাক মা-র মোট সম্পত্তি ৪ হাজার ৮০০ কোটি ডলারের সম্পত্তিকে ছাপিয়ে এগিয়ে যান হুয়াতেং। এর ফলেই বিশ্বের ধনীদের তালিকাতেও খানিক নীচে নেমে গিয়েছেন ই- কমার্স জায়ান্ট আলিবাবা গ্রুপের চেয়ারম্যান ধনকুবের জ্যাক মা।

বিজয় মালিয়া

বিতর্কের আগে, দেশ ছেড়ে পালানোর আগে ভারতের ধনীদের তালিকায় শীর্ষে ছিলেন বিজয় মালিয়া (Vijay Mallya)। মালিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ, এসবিআই-এর থেকে ৯ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে না মেটানো। তবে গত কয়েক বছর ধরে দিব্যি লন্ডনে নিজের জীবন আয়েশে কাটাচ্ছিলেন ‘কিং অফ গুড টাইমস’ মালিয়া। মাঝে অবশ্য মালিয়াকে দেউলিয়া ঘোষণা করে লন্ডনের এক আদালত। মালিয়ার ভারতের সম্পত্তি ক্রোক করা হয়েছিল আগেই। সম্প্রতি মালিয়া ও আরেক ঋণ খেলাপি নীরব মোদির সেই সম্পত্তি বিক্রি করে কেন্দ্র উদ্ধার করেছে ১৩ হাজার ১০৯ কোটি টাকা। স্বভাবতই এর ফলে বেশ খানিকটা গরিব হয়েছেন মালিয়া। তবে ঠিক কতটা, তা এখনই বলা সম্ভব না। যতক্ষণ না পর্যন্ত ভারতে প্রত্যর্পণ হচ্ছে তাঁর।

নীরব মোদি
বিজয় মালিয়ার মতোই আরেকজন ঋণখেলাপি ও দেশত্যাগী নীরব মোদি (Nirav Modi)। পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংকের ১৩ হাজার কোটি টাকা ঋণখেলাফের অভিযোগ রয়েছে এই হিরে ব্যবসায়ী ধনকুবেরের বিরুদ্ধে। গত বছর নীরব মোদি ও মেহুল চোকসির ১৩৫০ কোটি টাকার হিরে, মুক্তো-সহ মূল্যবান সামগ্রী দেশে ফিরিয়ে এনেছিল ED। এবার নীরবের বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে বিক্রি করল কেন্দ্রীয় সরকার। বিজয় মালিয়া ও তাঁর সম্পত্তি বিক্রি করে অর্থের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ১০৯ কোটি টাকা। স্বভাবতই এর ফলে পলাতক নীরবের সম্পদের পরিমাণ অনেকটাই কমে গিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

অনিল আম্বানি
এশিয়ার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি মুকেশ আম্বানি। তাঁরই ছোট ভাই অনিল আম্বানির (Anil Ambani) কিনা দেউলিয়া অবস্থা! অথচ কয়েক বছর আগেও ছিলেন বিলিওনেয়ার। ভারতের অন্যতম শীর্ষ ধনী। কিন্তু বছর দুয়েক আগেই অনিল দাবি করেন, সঞ্চিত অলংকার বেচে তাঁকে আইনজীবীর বিল পরিশোধ করতে হচ্ছে। অনিল আগেও দাবি করেছিলেন, তার সম্পত্তির পরিমাণ এখন ‘নেট জিরো’, অর্থাৎ শূন্যে এসে ঠেকেছে। উল্লেখ্য, মুকেশ এবং অনিল আম্বানি উত্তরাধিকার সূত্রে বিপুল ব্যবসায়িক সাম্রাজ্যের অধিকারি হন। রিলায়েন্স ব্যবসায়িক সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন তাদের বাবা ধীরুভাই আম্বানি। ব্যবসায়িক মতবিরোধের কারণে দুই ভাই আলাদা হয়ে যান।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement