চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়: শুক্রবার আসানসোল সিবিআই আদালতে আত্মসমর্পণ করল গরু পাচার কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত এনামুল হক। এদিন সকাল দশটা নাগাদ কড়া নিরাপত্তার মধ্যে এনামুলকে আদালতে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। একই সঙ্গে এদিন আদালতে তোলা হয় বিএসএফ কমান্ডেন্ট সতীশ কুমারকেও।
[আরও পড়ুন: বীরভূম থেকে গ্রেপ্তার আরও ১ জেএমবি জঙ্গি, উদ্ধার ল্যাপটপ-কম্পিউটার]
সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করার পর করোনা আক্রান্ত হয়ে যাওয়ায় বেলেঘাটা আইডিতে ভরতি করা হয় এনামুলকে। এরপর দু’দুবার করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে এনামুলের। এরপর তাঁকে কলকাতা হাই কোর্ট নির্দেশ দেয় করোনা নেগেটিভ হওয়ার ৬ দিনের মাথায় আত্মসমর্পণ করতে। সেই মত শুক্রবার আসানসোল সিবিআই আদালতে আত্মসমর্পণ করে এনামূল। অন্যদিকে দশদিন জেল হেপাজতের পর এদিন সিবিআই আদালতে তোলা হয় বিএসএফ কমান্ডেন্ট সতীশ কুমারকে। এদিন শুনানি শেষে এনামুলের ১৪ দিনের জেল হেফাজত দেয় আদালত। সতীশ কুমারকেও ১১ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত মাসে দিল্লির একটি হোটেল থেকে এনামুল হককে গ্রেপ্তার করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (CBI)। তারপর এনামুল হককে শর্ত সাপেক্ষে জামিন দেয় দিল্লির সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর মালদহ, মুর্শিদাবাদ ও বসিরহাট সীমান্ত এলাকায় কয়েকজন ব্যবসায়ীর উপর নজরদারি শুরু করেন তদন্তকারী দলের সদস্যরা। এছাড়া, বিএসএফ কমান্ডেন্ট সতীশ কুমারের বাড়ি, ব্যবসায়ী রাজন পোদ্দারের মানিকতলার বাড়ি ও তিন জেলায় সিবিআই তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু নথি উদ্ধার করা হয়। তদন্তকারীরা জানতে পারেন, বিএসএফ ও শুল্ক দপ্তরের আধিকারিকদের যোগসাজশে সীমান্তে আটক গরুগুলিকে রুগ্ণ ও ছোট দেখিয়ে কম টাকায় কিনে নেওয়ার সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছিল এনামুল হক। এদের দেওয়া টাকায় সমৃদ্ধ হচ্ছিলেন বিএসএফ কর্তা সতীশ কুমার ও শুল্ক আধিকারিকদের একাংশ। এমনকী এনামুলের সংস্থায় সতীশ কুমারের ছেলে কাজও করেন বলে জানা যায়।