সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে জটিলতা অব্যাহত। যা মেটাতে আসরে নামতে পারেন জয় শাহ। খবর ছিল বিসিসিআই সচিব থাকাকালীনই তিনি হয়তো বৈঠক করতে পারেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান মহসিন নকভির সঙ্গে। সেখানে থাকতে পারেন আইসিসির কর্তাব্যক্তিরাও। যদিও পাক বোর্ডের বক্তব্য কোনও মিটিংয়ের কথাই হয়নি। যার পর আইসিসি-র তরফ থেকে জানানো হয়, অবশ্যই একটি মিটিং হওয়ার কথা। অর্থাৎ ঘুরিয়ে পিসিবিকে ঘুরিয়ে 'মিথ্যাবাদী'ই বলে দিল আইসিসি।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরু হতে আর ১০০ দিনও বাকি নেই। কিন্তু ভারত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, আয়োজক দেশ পাকিস্তানে গিয়ে তারা খেলবে না। ভারতের মতে, ক্রিকেট দলের উপর বড়সড় হামলা চালাতে পারে জঙ্গিরা। অন্যদিকে নিজের অবস্থানে অনড় পাকিস্তানও। সেদেশের সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির কোনও ম্যাচ পাকিস্তান থেকে সরানো হবে না। হাইব্রিড মডেলেও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজন করতে নারাজ পাকিস্তান। এখনও সূচি প্রকাশ করা যায়নি।
দুই পক্ষের নাছোড়বান্দা মনোভাবের জেরে বড়সড় জটিলতা তৈরি হয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ভবিষ্যৎ ঘিরে। সূত্রের খবর, আইসিসি চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার আগে দুবাইয়ে গিয়ে আইসিসি আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি। তার পরেই হয়তো ফোনে কথা বলবেন নকভির সঙ্গে। কিন্তু পিসিবি থেকে জানানো হয়েছে এরকম কোনও মিটিংয়ের পরিকল্পনা নেই। তাদের সূত্রের বক্তব্য, 'আইসিসি আর বিসিসিআইয়ের সঙ্গে কোনও মিটিংয়ের খবর আমাদের কাছে নেই।'
তার পরই পালটা জবাব দেয় আইসিসি। তাদের সূত্রের দাবি, 'প্রতিটা বোর্ডের কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে আগামী মঙ্গলবার একটা ভার্চুয়াল মিটিংয়ের কথা রয়েছে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে জটিলতা কাটানোর বিষয়ে সেখানে কথা হবে। শেষ পর্যন্ত কোথায় টুর্নামেন্ট হবে, সেই নিয়ে ভোটাভুটিও হতে পারে। সেখানেই ঠিক হবে পাকিস্তানে হবে, নাকি পুরোটাই অন্য কোথাও যাবে? নাকি হাইব্রিড মডেলে হবে? সেক্ষেত্রে ভারতের ম্যাচ হতে পারে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে'।