সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টানা ১৫ দিন ছিলেন ভেন্টিলেশনে। তীব্র লড়াই করেছিলেন। সেই লড়াই থামল শনিবার। প্রয়াত ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর মা নন্দিতা সেনগুপ্ত। শহরের বেসরকারি হাসপাতালে ডা. অনির্বাণ নিয়োগির তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। শনিবার বেলা তিনটে নাগাদ সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
অনেক দিন ধরেই কিডনির সমস্যায় ভুগছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর মা। এর আগে অভিনেত্রী জানান, লাগাতার ডায়ালিসিসের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে তাঁর মাকে। ৭৭ বছরের নন্দিতাদেবী আরও একাধিক শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। দিন পনেরো আগে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝেই অভিনেত্রীর মাকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। নন্দিতাদেবীর অসুস্থতার খবর পেয়ে কলকাতা এসেছিলেন ঋতুপর্ণার স্বামী স্বামী সঞ্জয় চক্রবর্তী। মুম্বই থেকে আসেন মাসতুতো বোন। সকলের আশা ছিল, নন্দিতাদেবী যেন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন। তা আর হল না।
৭ নভেম্বর ছিল ঋতুপর্ণার জন্মদিন। কিন্তু মায়ের শারীরিক অবস্থার কারণে সেদিনও অভিনেত্রীর মনখারাপ ছিল। সংবাদমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে ঋতুপর্ণা জানিয়েছিলেন, ভেন্টিলেশন শব্দটি শুনলেই অনেকে ভয় পেয়ে যান। ভয় তো তাঁরও করছে। তবে নিজের ইতিবাচক ভাবনা ধরে রাখার চেষ্টা করছেন তিনি।
নন্দিতা সেনগুপ্ত অত্যন্ত লড়াকু মনের মানুষ। এই যুদ্ধেও নিশ্চয়ই জয়ী হয়ে ফিরবেন। আশা ছিল ঋতুপর্ণার। কিন্তু এযাত্রায় সেই আশা পূরণ হল না। ৭৭ বছরের নন্দিতাদেবী জীবনের লড়াই থামল শনিবার। মায়ের প্রয়াণে ভেঙে পড়েছেন অভিনেত্রী। নন্দিতাদেবীর প্রয়াণের খবর পেয়েই হাসপাতালে পৌঁছে যান অভিনেত্রীর বন্ধু-শুভাকাঙ্খীরা। অভিনেত্রীর ভাই-ও রয়েছেন পাশে। মেয়ে ঋষণাকে নিয়ে সিঙ্গাপুর থেকে আসছেন সঞ্জয় চক্রবর্তী। ছেলে অঙ্কণ পড়াশোনার জন্য বস্টনে থাকার কারণে তার পক্ষে আসা সম্ভব হয়নি। ভিডিও কলেই দিদাকে শেষ দেখা দেখতে হয়েছে তাঁকে। পরিবারের বন্ধু, আত্মীয়দের কাছে অভিনেত্রীর অনুরোধ, নন্দিতাদেবীকে শ্রদ্ধা জানাতে চাইলে রাত আটটা নাগাদ তাঁরা রবিনসন স্ট্রিটের বাড়িতে যেতে পারেন।