সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতীয় সিনেপর্দায় পাকিস্তানের 'ভিলেন' রূপ নতুন নয়! একাধিকবার রুপোলি পর্দায় ফুটে উঠেছে দুই প্রতিবেশী দেশের শত্রুতা। যা কিনা বিশ্বজুড়ে বক্স অফিসে রমরমিয়ে ব্যবসা করার পাশাপাশি দর্শকদের তরফেও প্রশংসা কুড়িয়েছে। তার মাশুলও অবশ্য গুণতে হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ার ফলে এহেন ছবিগুলোর ব্যবসা ধাক্কা খেয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে। 'স্কাই ফোর্স'-এর (Sky Force) ক্ষেত্রেও সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি! অভিযোগ, অক্ষয় কুমারের (Akshay Kumar) ছবিতে পাকিস্তানের প্রতিবিরূপ মনোভাব ফুটে উঠেছে।
সদ্য ২৩ জানুয়ারি, শুক্রবার বিশ্বব্যাপী মুক্তি পেয়েছে 'স্কাই ফোর্স'। ইতিমধ্যেই ছবিতে অক্ষয় কুমার এবং বীর পাহাড়িয়ার পারফরম্যান্স প্রশংসা কুড়িয়েছে। দীর্ঘদিন বাদে এই ছবির হাত ধরেই বক্স অফিসের ফ্লপ পিচ থেকে মুখ তুলে দাঁড়িয়েছেন খিলাড়ি। পয়লা দিনেই সাড়ে ১৫ কোটির ব্যবসা দিয়ে অভিনেতার মন্দা কেরিয়ারের মোড় ঘুরিয়েছে 'স্কাই ফোর্স'। ছবির ব্যবসা নিয়ে যখন চর্চা তুঙ্গে, ঠিক সেই আবহেই অভিযোগ উঠল, সিনেমায় ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্বে প্রতিবেশী ইসলামিক রাষ্ট্রকে শত্রুদেশ হিসেবে দেখানো হয়েছে। আর সেই দ্বন্দ্ব দেখানোতেই মধ্যপ্রাচ্যের একাধিক প্রান্তে 'স্কাই ফোর্স' নিষিদ্ধ হওয়ার খবর প্রকাশ্যে এসেছে। জানা গিয়েছে, আরব আমীরশাহী, সৌদি আরব, কাতার, ওমান-সহ বেশ কিছু জায়গায় অক্ষয়ের ছবির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। যাতে সিনেমার মাধ্যমে সেই দ্বন্দ্ব সেখানেও না ছড়িয়ে পড়ে।
যদিও ছবি দেখে ভারতের সিনে বিশেষজ্ঞমহলের মত, "'স্কাই ফোর্স'-এ নিষিদ্ধ করার মতো কোনও উগ্র জাতীয়তাবাদ দেখানো হয়নি। সাম্প্রতিক কোনও হিন্দি ছবিতেও এই ধরনের বার্তা বা দৃশ্য দেখানো হয়নি। ফলে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিতে এহেন নিষিদ্ধকরণ ভীষণই বিস্ময়ের!" এই অবশ্য প্রথম নয়, 'স্কাই ফোর্স'-এর আগে হৃতিক-দীপিকার 'ফাইটার', 'গদর ২', 'আর্টিকল ৩৭০' থেকে শুরু করে 'টাইগার ৩'-এর মতো সিনেমাগুলো নিষিদ্ধ করা হয়েছিল মধ্যপ্রাচ্যের একাধিক জায়গায়। ফলে বক্স অফিসে ব্যবসার ক্ষেত্রে যে খানিক হলেও এর প্রভাব পড়বে, তা বলাই যায়।