সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সময় যত গড়াচ্ছে, বলিউডের নবাব সইফ আলি খানের উপর হামলাকারী ততই যেন খোলস ছাড়ছে! পুলিশি জেরায় একেকটা বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি করছে সে। কখনও নিজের পরিচয় নিয়ে ধোঁয়াশা জারি, কখনও কুকীর্তির মোটিভ নিয়ে বিভ্রান্তিকর কথাবার্তা - সবমিলিয়ে মুম্বই পুলিশের কাছে এখনও রহস্যময় হামলাকারী শরিফুল ইসলাম শাহজাদ। যে গত ১৫ তারিখ গভীর রাতে মুম্বইয়ের বান্দ্রায় সইফ আলি খানের বাড়িতে ঢুকে ছুরির আঘাতে অভিনেতাকে জখম করে। এবার তার বক্তব্য, সইফের ছোট ছেলে জেহ-কে অপহরণ করে মুক্তিপণ হিসেবে কোটি টাকা হাতানোর ছক ছিল তার! অন্তত জেরায় সে এমনই জানিয়েছে বলে দাবি পুলিশের। মঙ্গলবারই সম্ভব হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাবেন ৫৪ বছরের অভিনেতা। আর এদিনই ঘটনার পুনর্নির্মাণের জন্য সইফের বান্দ্রার বাড়িতে শরিফুলকে নিয়ে গিয়েছেন তদন্তকারীরা।
শর্মিলাপুত্রের উপর অতর্কিত হামলার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত যা তথ্য মিলেছে, তাতে স্পষ্ট গত ১৫ জানুয়ারি মাঝরাতে বান্দ্রায় সদগুরু শরণ বিল্ডিংয়ে আততায়ী ঢুকে পড়েছিল এমন এক পথে, যা আগে থেকে না জানা থাকলে অসম্ভব ছিল। গৃহ পরিচারিকার কথা অনুযায়ী, সইফপুত্র জেহ-র ঘরের পাশের শৌচালয় দিয়ে বাড়িতে ঢোকে হামলাকারী শরিফুল। তার উপস্থিতি চোখে পড়ে জেহ-র ন্যানির। তিনিই চিৎকার করে শরিফুলের পথ আটকান। চিৎকার শুনে নিজের ঘর থেকে বেরিয়ে এসে আক্রান্ত হন সইফ। এরপরই সন্দেহ উসকে উঠেছিল, নিশ্চয়ই বাড়ির আনাচকানাচ সে খুব ভালোভাবে জানত, তাই এভাবে চুপিসাড়ে ঢুকে পড়তে পেরেছে।
এছাড়া ছোট্ট জেহ-র ঘরের দিকে তার গতিবিধি দেখেই বোঝা গিয়েছিল, অন্য উদ্দেশ্য ছিল। এবার জেরায় সে স্বীকার করে নিল, জেহ-কে অপহরণ করে মুক্তিপণ বাবদ কোটি টাকা হাতানোর ছক ছিল। বাধা পেয়েই সে কোটি টাকা চায় জেহ-র ন্যানির কাছে। তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে শরিফুলের এই নয়া দাবির উপর জোর দিচ্ছেন তদন্তকারীরা। তদন্তের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার সইফের বাড়িতে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় পুনর্নির্মাণের জন্য। সেখান থেকে অন্তত ১৯ টি ফিঙ্গারপ্রিন্ট মিলেছে বলে দাবি পুলিশের।