সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বুধবার ভোর রাতে নিজের বান্দ্রার বাসভবনেই দুষ্কৃতীদের হামলার শিকার সইফ আলি খান (Saif Ali Khan)। ঘটনার পর থেকেই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে আসছে। জানা গিয়েছে, সইফ-করিনার দুই সন্তান জেহ-তৈমুরের (Jeh-Taimur) ঘরেই নাকি হামলার ঘটনা ঘটে। যথাসময়ে সইফ সেখানে উপস্থিত না হলে দুই সন্তানের পাশাপাশি বাড়ির পরিচারিকার বড়সড় বিপদ হতে পারত। তবে নিজের জীবন বাজি রেখে দুষ্কৃতীর উপর ঝাপিয়ে পড়েন নবাব। তখনই ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন তিনি।
সেইসময়ে স্ত্রী করিনা কাপুরও বাড়িতেই ঘুমোচ্ছিলেন রাতপার্টির পর। বান্দ্রা পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, রাত দুটোর সময়ে সইফ-করিনার বাড়ির পরিচারিকা এলিয়ামা ফিলিপস ওরফে লিমাই প্রথম ওই দুষ্কৃতীকে দেখতে পান। তৎক্ষণাৎ তিনি চিৎকার করে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সজাগ করে দেন। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, সইফ সেই চিৎকার শুনেই ঘুম থেকে উঠে জেহ-তৈমুরদের ঘরে গিয়ে প্রথমে বচসায় জড়ান। তার পর শুরু হয় ধস্তাধস্তি। তখনই ধারালো অস্ত্র দিয়ে অভিনেতার আক্রমণ করা হয়। যে ছুরির ২ ইঞ্জির মতো অংশ সইফের পিঠে ঢুকেছিল। যার ফলে শিরদাঁড়াও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নবাবের। ডা. নীতিন দাঙ্গের তত্ত্বাবধানে আড়াই ঘণ্টার অস্ত্রোপচারের পর যদিও ছুরির ওই অংশ বের করতে সক্ষম হয়েছেন চিকিৎসকরা। তবে জানা গিয়েছে, সেরিব্রোস্পাইনাল তরল বের হয়েছে অনেকটা। হাত এবং ঘাড়ের গভীর ক্ষততে প্লাস্টিক সার্জারি করা হয়েছে লীলাবতী হাসপাতালে। বর্তমানে আইসিইউতে রাখা হয়েছে সইফ আলি খানকে।
এদিকে বান্দ্রা থানায় পুলিশি জেরার মুখে পরিচারিকা লিমা জানিয়েছেন, তাঁরও ডান হাতে ছুরির আঘাত লেগেছে। ওই দুষ্কৃতী প্রথমে তাঁকেই আক্রমণ করে। এর পরই সন্তান-পরিচারিকাদের বাঁচাতে ছুটে আসেন সইফ আলি খান। যার জেরে দুষ্কৃতীর কোপে পড়তে হয় তাঁকে। সন্তান এবং বাড়ির পরিচারিকাকে বাঁচাতে গিয়ে অভিনেতার এমন সাহসী পদক্ষেপে অভিনেতার গুণগান গাইছেন অনুরাগীরা। তাঁদের কথায়, "শুধু রিলে নয়, সইফ আদতেই রিয়েল লাইফ হিরো।"