বৃষ্টি ভাণ্ডারী: সম্প্রতি ফেডারেশনের সঙ্গে মতবিরোধের কারণে বারবার চর্চার শিরোনামে থেকেছেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। বিতর্কের আগুন যখন প্রায় নিভু নিভু, ঠিক সেসময়ে কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের মঞ্চে দেখা মিলল অভিনেতা-পরিচালকের। উপরন্তু উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জুন মালিয়ার সঙ্গে তাঁকে সঞ্চালনা করতে দেখে কৌতূহলের ভিড় সিনেইন্ডাস্ট্রির অন্দরেও! রবিবার চলচ্চিত্র উৎসবে যোগ দিয়ে ফেডারেশনের সঙ্গে আইনি দ্বন্দ্ব নিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলও 'সতীর্থ' অনির্বাণ ভট্টাচার্যকে নিয়ে 'টুঁ' শব্দটিও করলেন না পরমব্রত।
ফেডারেশনের বিরুদ্ধে যে তেরো জন পরিচালক হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন, সেই তালিকার মধ্যে অন্যতম পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। আদালতে শুনানির সময়ে অনির্বাণ ভট্টাচার্যের সঙ্গে উপস্থিত থাকতেও দেখা গিয়েছিল তাঁকে সাম্প্রতিক অতীতে। তবে রবিবার কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে যোগ দিয়ে পরমব্রত সাফ জানালেন, ফেডারেশনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা থেকে নাম প্রত্যাহার করেছেন তিনি। অভিনেতা-পরিচালক বললেন, "যা মতবিরোধ ছিল, যা মনোমালিন্য, মান-অভিমান যেটাই হয়ে থাকুক না কেন, আমি যেমন বরাবর বলেছি, আলোচনার মাধ্যমে মীমাংসা সম্ভব, তেমনই বলব। আমি আর আইনি বিরোধিতার মধ্যে নেই। আগামীতেও থাকব না। আমাদের বৃহত্তর পরিবারে এরকম সংঘাত ঘটতেই পারে। আলোচনা, আলাপের মাধ্যমেই সেটার সমাধান হবে। এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত ফেডারেশনের সঙ্গে মতবিরোধ নিয়ে।" তবে উল্লেখ্য, ফেডারেশনের সঙ্গে সাম্প্রতিক আইনি লড়াই নিয়ে নিজস্ব অবস্থান ব্যক্ত করলেও সূক্ষ্মভাবে পরমব্রত এড়িয়ে গেলেন অনির্বাণ ভট্টাচার্যের প্রসঙ্গ। অভিনেতা-পরিচালকের স্পষ্ট বক্তব্য, "আমি ব্যক্তিগতভাবে নিজের বিষয়টি বললাম। অন্যদের কথা আমি বলতে পারব না।"
অন্যদিকে ৬ নভেম্বর চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পরমব্রতর সঞ্চালনা এবং ফেডারেশনের অনুপস্থিতি নিয়েও টলিমহলের অন্দরে নানা কানাঘুষো বহাল ছিল! এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সেপ্রসঙ্গেও মুখ খুললেন পরমব্রত। সঞ্চালনা প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, "ফেডারেশন কেন চলচ্চিত্র উৎসবে নেই, সেটা সম্পর্কে আমার সত্যিই কোনও ধারণা ছিল না। আমাকে বলা হয়েছিল সঞ্চালনা করতে। যেটা আমার কাছে বড় সম্মানের। বহু বছর ধরে এই কাজটি করছি। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। সাধারণত এই দায়িত্বটা যিশু, জুন আর আমার উপর থাকে। আমি কলকাতার বাইরে থাকলে অন্য কেউ সেই দায়িত্ব পালন করেন।" তবে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্যে স্পষ্ট, ফেডারেশন দ্বন্দ্বে আইনি পথে না হেঁটে আলোচনার মাধ্যমেই মীমাংসা চান তিনি।
