সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মন্নত। শাহরুখ খানের স্বপ্নের ইমারত। অবশ্য তাঁর একার নয়, সহধর্মিনী গৌরীও রয়েছেন 'কিং'-এর পাশে। দুজনে মিলে মনের মতো করে সাজিয়ে নিয়েছেন এই বাড়ি। বলা ভালো প্রাসাদ। যার সামনে চেনা দৃশ্য নায়কের দর্শনপ্রত্যাশী জনঅরণ্যের ঢেউ। কিন্তু এই বাড়ি আসলে হেরিটেজ বিল্ডিং। শাহরুখ এই বাড়ি তৈরি করেননি। মহারাষ্ট্র সরকারই ছিল মন্নতের মালিক। তখন মালিক ছিলেন অন্য কেউ। তাঁর কাছে এই বাড়ি 'লিজ' দেওয়া হয়েছিল। পরে সেই বাড়ি লিজ সম্পত্তি থেকে শাহরুখ সরাসরি মালিকানা পান। সেই বাবদ শাহরুখ যে অর্থ দিয়েছিলেন সরকারকে, পরে তিনি দাবি করেন সেই অর্থ হিসেবের থেকে বেশি। সেই বাড়তি অঙ্কের অর্থ ফিরিয়ে দেওয়ার আর্জিও জানানো হয়। শোনা যাচ্ছে, মহারাষ্ট্র সরকার সেই বাবদ ৯ কোটি টাকা ফিরিয়ে দিতে চলেছে বাদশাকে।
১৯১৪ সালে তৈরি মন্নত মুম্বইয়ের হেরিটেজ বিল্ডিং। সেখানেই সপরিবারের সংসার সাজিয়েছেন শাহরুখ-গৌরী। সন্তানরা ছাড়াও কিং খানের দিদিও এই বাংলোতেই থাকেন। প্রায় আড়াই হাজার বর্গ মিটারের এই সম্পত্তি শাহরুখ-গৌরীর নামে করা হয়েছিল এক রেজিস্টার্ড চুক্তিতে। দ্বিতীয় শ্রেণির সম্পত্তি (লিজ নেওয়া সম্পত্তি) থেকে প্রথম শ্রেণির সম্পত্তিতে (সম্পূর্ণ মালিকানাধীন সম্পত্তি) রূপান্তর করতে সরকারকে দিতে হয় ২৭.৫০ কোটি টাকা। ২০১৯ সালের মার্চ মাসে হয় চুক্তি।
কিন্তু সূত্রের দাবি, পরে খান দম্পতি দেখতে পান 'অনিচ্ছাকৃত ভুল' হিসেবে জেরে অনেক বেশি টাকা দিতে হয়েছে তাঁদের। দেখা যায়, জমিটুকুর পরিবর্তে বাংলোর দাম নেওয়া হয়েছিল শাহরুখের থেকে। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে সরকারকে এই সংক্রান্ত নোটিস দেওয়া হয়। মহারাষ্ট্র সাবার্বন ডিস্ট্রিক্ট তথা এমএসডি-র কালেক্টরের সামনে আর্জি জানান শাহরুখ। তিনি বিষয়টি মহারাষ্ট্র সরকারের কাছে পাঠিয়ে দেন। আর এবার সূত্রানুসারে জানা যাচ্ছে, সম্ভবত এবার সেই অর্থ শাহরুখ খানকে ফেরত দেওয়া হবে।
এদিকে বলিউড মাধ্যম সূত্রে খবর, ৬ তলার মন্নতকে এবার আট তলার বিল্ডিংয়ের রূপ দিতে চাইছেন সুপারস্টার দম্পতি। আর সেই প্রেক্ষিতেই মুম্বই প্রশাসনের কাছে আবেদনপত্রও পাঠিয়েছেন গৌরী খান।