সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিধানসভা ভোটের দামামা বেজে গিয়েছে বিহারে। এই মুহূর্তে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের প্রার্থীতালিকার দিকে 'চোখ' ওয়াকিবহলমহলের। চূড়ান্ত প্রার্থীতালিকা প্রকাশ্যে আসার পরই 'মার মার কাট কাট' পরিস্থিতি। এমন আবহেই রাষ্ট্রীয় জনতা দলের হয়ে প্রচার করতে দেখা গেল মনোজ বাজপেয়ীকে! খোদ তেজস্বী যাদবের এক্স হ্যান্ডেল থেকে ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিও নেটভুবনে রীতিমতো শোরগোল ফেলে দিয়েছে। কৌতুহলীদের প্রশ্ন, তাহলে কি লালু প্রসাদের দলের হাত ধরেই রাজনৈতিক ইনিংস শুরু করলেন 'ফ্যামিলি ম্যান'?
ভোটবাক্স ভারী করতে প্রচারের ময়দানে তারকামুখের ঝলক, এদেশে নতুন নয়। রাজনীতি আর গ্ল্যামার দুনিয়া বর্তমানে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এযাবৎকাল বহু তারকা সাংসদ-বিধায়ক পেয়েছে দেশবাসী। সুনীল দত্ত, হেমা মালিনী, জয়া বচ্চন, জয়াপ্রদা থেকে অমিতাভ বচ্চনের মতো প্রথম সারির বহু তারকাকে রাজনীতির ময়দানে দেখা গিয়েছে। অনেকেই ভোটে জিতে রাজ্যসভা ও লোকসভাতে গিয়েছেন। সেই প্রেক্ষিতেই আরজেডি'র হয়ে মনোজ বাজপেয়ীর ভোটপ্রচারের ভিডিও দেখে খুব একটা হতবাক হননি অনুরাগীরা। তবে বিহারের বিধানসভা নির্বাচনী আবহে আরজেডির এহেন 'কারসাজি' নজর এড়ায়নি মনোজ বাজপেয়ীর। যা দেখে লালুপুত্রর উপর রীতিমতো রেগে কাঁই পদ্ম পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা। তাঁর অভিযোগ, এই ভিডিওটি সর্বৈব ভুয়ো। বিনা অনুমতিতে তাঁর ছবি-ভিডিও ব্যবহার করে ভোটপ্রচার করছে রাষ্ট্রীয় জনতা দল।
এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করে সপাটে তেজস্বীকে তুলোধনা করেছেন মনোজ বাজপেয়ী। অভিনেতার সাফ কথা, "আমি কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নই। কোনও পার্টির ঘনিষ্ঠ নই। যে ভিডিওটি ভাইরাল করা হচ্ছে, সেটা বছর খানেক আগে অ্যামাজন প্রাইম ভিডিওর একটি বিজ্ঞাপনের জন্য করেছিলাম। সেটাই কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে এডিট করে এভাবে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। সকলের কাছে আমার অনুরোধ, এই ধরনের বিকৃত বিষয়বস্তু ছড়ানো বন্ধ করুন। মানুষকে দয়া করে বিভ্রান্ত করবেন না।" সেই পোস্টে তেজস্বী যাদবের পোস্টের লিঙ্কও দিয়েছেন তিনি। যদিও বলিউড অভিনেতার কটাক্ষের পর সেই ভিডিও নিজের সোশাল মিডিয়া পেজ থেকে মুছে ফেলেছেন লালুপুত্র।
সোমবার বিকেলে বিহার বিধানসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন। এদিন বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ সাংবাদিক বৈঠক করেন নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার। জানান, বিহারে বিধানসভা নির্বাচন শুরু হবে আগামী ৬ নভেম্বর থেকে। দু'দফায় নির্বাচন শেষ হবে ১১ নভেম্বর। ফল ঘোষণা ১৪ নভেম্বর। উল্লেখ্য, নির্বাচনী প্রস্তুতির সঙ্গেই গত ৩০ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ হয়েছে বিহারে। এই এসআইআর বা বিশেষ নিবিড় সংশোধনী নিয়ে কম উত্তেজনা হয়নি বিহারে। এই তালিকা থেকে অন্তত ৬৫ লক্ষ মানুষের নাম বাদ পড়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা।
