সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জাদুসম্রাট পি সি সরকারের বাড়িতে এই শীতেই বসবে বিয়ের আসর। এর আগে একসঙ্গে তিন মেয়ের বিয়ের জন্য পাত্র খুঁজেছেন জাদুকর। খবরের কাগজে সেই বিজ্ঞাপনে চোখ আটকায়নি এমন কেউ নেই। অবশেষে এবার বিয়ের জমকালো আসর বসবে তাঁর বাড়িতে। এই মুহূর্তে তারই প্রস্তুতি তুঙ্গে। কারণ চলতি মাসের ৩০ নভেম্বর জাদুকর কন্যা মৌবনী সরকার বসছেন বিয়ের পিঁড়িতে। ঠিক কীভাবে দিদি মৌবনীর বিয়ের প্রস্তুতি চলছে? কী পরিকল্পনা তা জানতেই জাদুকরকন্যা মুমতাজ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল। দিদি মৌবনীর বিয়েতে কী কী আয়োজন করা হচ্ছে? সাজপোশাক কেমন ভাবছেন বা মেনুতে কী রয়েছে তা জানতে চাইলে একগাল হেসে উচ্ছ্বাসের সঙ্গে সবটা জানালেন মুমতাজ।
মুমতাজ বলেন, "প্রস্তুতি তুঙ্গে। হাতে মাত্র আর কটা দিন। শেষমুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে বলা যায়। অনেক কাজই আগে এগিয়ে রাখা হয়েছে। তবে মা ভীষণই টেনশন করছেন। শপিংও চলছে, তবে শপিং যে একেবারেই হয়ে গিয়েছে এমনটাও বলা যাচ্ছে না। কারণ মেয়েদের শপিং কখনও শেষ হয় না। তবে মৌবনীর বিয়ের বেনারসি বেনারস থেকে কেনা হচ্ছে। ওই দিকটা একেবারেই মা সামলাচ্ছেন। আর আমরাও বিয়ের দিন এক্কেবারে বাঙালি বিয়েতে যেভাবে সাজ হয় সেভাবেই সাজব। তবে কী শাড়ি পরব বা কেমন সাজব তা একটু সিক্রেট রাখব, সবটা বলব না এখনই। একইভাবে সবার পছন্দের কথা মাথায় রেখেই বিয়ের মেনুতে কী কী থাকবে সেটাও ঠিক করা হয়েছে।"
নতুন জামাইবাবুর সঙ্গে মুমতাজের ভাব কতটা জমল জিজ্ঞেস করতেই হাসতে হাসতে তিনি বলেন, "নতুন জামাইবাবু ভীষণই ভালো মানুষ। তাঁর সঙ্গে খুবই ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়েছে এর মধ্যেই। তবে তাঁকে বলে রেখেছি জুতো চুরি করার পর টাকাটা ঠিকঠাক না দিলে পাঞ্জাবিটাও চুরি হবে। আর তখন তাহলে আর কোনও উপায় থাকবে না। খালি পায়ে বিয়ের জোড় গায়ে দিয়েই সারা রাত কাটাতে হবে। মৌবনী যদিও এই নিয়ে আমাদের বারবার বলছে, 'এরকম করিস না।' তবে আমরা খুব একটা পাত্তা দিচ্ছি না সেসবে।" মুমতাজ আরও বলেন, "এর আগে আমাদের তিন বোনকে নিয়ে একটা স্বয়ম্বর সভা হওয়ার পরিকল্পনা হয়েছিল তবে তা আর হল না। তবে ভেবেছি আগামীতে সেই সুযোগ হলে মৌবনীকে বলব জামাইবাবুকে নিয়েই ওই স্বয়ম্বর সভায় আসতে। যাতে আমাদের পূর্বের সেই পরিকল্পনা সফল হয়।"
