shono
Advertisement
Saif Ali Khan

'বাবা তুমি কি মরে যাবে?', রক্তাক্ত সইফকে দেখে ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে জিজ্ঞেস করে তৈমুর

ঘটনার রাতে তৈমুর কীভাবে সামলেছিল? জানালেন সইফ আলি খান।
Published By: Sandipta BhanjaPosted: 06:56 PM Feb 10, 2025Updated: 06:56 PM Feb 10, 2025

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বয়স মোটে আট বছর। বাবা সইফ আলি খানকে (Saif Ali Khan) রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে প্রথমে ভয়ে গুটিয়ে যায় তৈমুর আলি খান (Taimur Ali Khan)। একদিকে মা করিনার চিৎকার, অন্যদিকে বাবার সাদা পাঞ্জাবি রক্তে ভিজে লাল, সবমিলিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ে সে। তবে এই বয়সেও উপস্থিত বুদ্ধিমত্তার জোরে সেই রাতে বাবাকে একা ছাড়েনি তৈমুর। বরং সইফের সঙ্গে অটোয় চড়ে লীলাবতী হাসপাতালে পৌঁছয় খুদে। সইফের তখন সাংঘাতিক অবস্থা! একা হাসপাতালে যাওয়ার মতো শারীরিক পরিস্থিতিও ছিল না। কী করে সামাল দিয়েছিল ওইটুকু খুদে? ছেলে তৈমুর আলি খানের কথা বলতে গিয়ে গর্বে বুক ভরে উঠল সইফের।

Advertisement

গত ১৬ জানুয়ারি, ভোররাতে নিজের বাসভবনেই দুষ্কৃতীর ছুরিকাঘাতে গুরুতম জখম হন সইফ আলি খান (Saif Ali Khan)। দিন পাঁচেক হাসপাতালে চিকিৎসার পর 'নবাব' বাড়িতে ফেরেন। সেলেব্রিটিদের অন্দরমহলে এহেন মারাত্মক কাণ্ড ঘটায় নিরাপত্তা নিয়েও মুম্বই প্রশাসনকে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়। তবে বলিউড অভিনতা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেও প্রায় একমাস আগের ইস্যু নিয়ে জলঘোলা অব্যাহত! সেই বিভীষিকাময় রাতে ঠিক কী ঘটেছিল? সম্প্রতি বম্বে টাইমস-এর সাক্ষাৎকারে মুখ খুললেন অভিনেতা। সইফ জানান, "আততায়ী ছুরি চালিয়ে পালানোর পর রক্তে ভেজা সইফ দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন করিনা এবং তাঁদের দুই সন্তান। নিচতলায় নেমে ক্যাব কিংবা একটা অটোর খোঁজে বিভ্রান্তের মতো ছোটাছুটি করছিল। আমি শুধু বলেছিলাম, আমার পিঠে প্রচণ্ড ব্যথা হচ্ছে। মারাত্মক আঘাত লেগেছে মনে হচ্ছে। করিনা বলল- তুমি হাসপাতালে যাও, আমি ছেলেদের নিয়ে দিদি করিশ্মার বাড়িতে চলে যাচ্ছি। ও পাগলের মতো ফোন করছিল সকলকে। কেউ ফোন ধরেনি অত রাতে। আমরা একে-অপরের দিকে তাকালাম। আমি করিনাকে আশ্বস্ত করে বলি- আমি মরে যাচ্ছি না। ঠিক আছি। তৈমুরও তখন আমাকে সরলভাবে জিজ্ঞেস করে, 'বাবা তুমি কি মরে যাবে?' আমার ওই ৮ বছর বয়সের ছেলেটা আমাকে হাসপাতালে নিয়ে গেল। তৈমুর তখন খুব শান্ত, স্থিরমস্তিকে ছিল। একদম ঠিকঠাক। ও নিজেই আমাকে বলল- বাবা আমি তোমার সঙ্গে হাসপাতালে যাচ্ছি, চলো। আমার মনেও তখন ভয় কাজ করছে, যদি কিছু একটা হয়ে যায়। তবে তৈমুরের মুখের দিকে তাকিয়ে অদ্ভূত একটা প্রশান্তি পেলাম। আমার সঙ্গে হাসপাতালে যাওয়ার সময় অন্তত ও তো রয়েছে।"

এরপরই সইফের সংযোজন, "করিনাও তৈমুরকে আমার সঙ্গে যেতে দিল। ওই মুহূর্তে হয়তো ওটাই ঠিক মনে হয়েছিল ওঁর। আমিও একটু ধাতস্ত হলাম। মনে মনে ভেবেছিলাম, যদি ঈশ্বর না করেন, কিছু একটা ঘটে, তৈমুর তো অন্তত রয়েছে আমার সঙ্গে। ও নিজেও চেয়েছিল আমার সঙ্গে যেতে। এরপর অটোরিকশা ডেকে আমি, তৈমুর আর হরি গেলাম লীলাবতী হাসপাতালে।" এই বয়সে কতটা প্রাপ্তমনস্ক, জ্ঞানবোধ থাকলে আট বছর বয়সি সন্তান রক্তাক্ত অবস্থায় বাবাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়, সেকথাই জানালেন সইফ।

জানা গিয়েছিল, সইফ-করিনার দুই সন্তান জেহ-তৈমুরের (Jeh-Taimur) ঘরেই নাকি হামলার ঘটনা ঘটে। যথাসময়ে সইফ সেখানে উপস্থিত না হলে দুই সন্তানের পাশাপাশি বাড়ির পরিচারিকার বড়সড় বিপদ হতে পারত। তবে নিজের জীবন বাজি রেখে দুষ্কৃতীর উপর ঝাপিয়ে পড়েন নবাব। তখনই ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন তিনি। সেইসময়ে স্ত্রী করিনা কাপুরও বাড়িতেই ঘুমোচ্ছিলেন রাতপার্টির পর। বান্দ্রা পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, রাত দুটোর সময়ে সইফ-করিনার বাড়ির পরিচারিকা এলিয়ামা ফিলিপস ওরফে লিমাই প্রথম ওই দুষ্কৃতীকে দেখতে পান। তৎক্ষণাৎ তিনি চিৎকার করে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সজাগ করে দেন। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, সইফ সেই চিৎকার শুনেই ঘুম থেকে উঠে জেহ-তৈমুরদের ঘরে গিয়ে প্রথমে বচসায় জড়ান। তার পর শুরু হয় ধস্তাধস্তি। তখনই ধারালো অস্ত্র দিয়ে অভিনেতার আক্রমণ করা হয়। যে ছুরির ২ ইঞ্জির মতো অংশ সইফের পিঠে ঢুকেছিল। যার ফলে শিরদাঁড়াও ক্ষতিগ্রস্ত হয় নবাবের। তবে সইফ এখন অনেকটাই সুস্থ।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • বাবা সইফ আলি খানকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে প্রথমে ভয়ে গুটিয়ে যায় তৈমুর আলি খান।
  • একদিকে মা করিনার চিৎকার, অন্যদিকে বাবার সাদা পাঞ্জাবি রক্তে ভিজে লাল, সবমিলিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ে সে।
  • আমার ওই ৮ বছর বয়সের ছেলেটা আমাকে হাসপাতালে নিয়ে গেল। তৈমুর তখন খুব শান্ত, স্থিরমস্তিকে ছিল: সইফ।
Advertisement