সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সইফের বাড়িতে ঢোকা দুষ্কৃতী ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে পরিচারিকাকে হুমকি দেয়। তার কাছ থেকে ১ কোটি টাকা দাবিও করে। প্রাথমিক তদন্তে এমনই বিস্ফোরক তথ্য পেয়েছে পুলিশ। সম্প্রতি ওই দুষ্কৃতীর ছবি প্রকাশ্যে আনে পুলিশ। সইফের বান্দ্রার বাড়ির আপৎকালীন সিঁড়ি দিয়ে বেরিয়ে যেতে দেখা গিয়েছে তাকে। সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে আসলেও দুষ্কৃতীর পরিচয় জানা যায়নি।
সইফের জখম পরিচারিকার দাবি, বুধবার রাত আড়াইটে নাগাদ অভিনেতার ছোট ছেলে জে-র ঘরে ছিলেন। সেই সময় শৌচালয়ের কাছে কারও ছায়া দেখতে পান তিনি। ভাবেন হয়তো সইফ ঘরনি করিনা তাঁর সন্তানের ঘরে আসছে। তবে কয়েক মিনিট পর তিনি বুঝতে পারেন কেউ ঘরে ঢুকছে না। অথচ শৌচালয়ের আশেপাশে ঘুরপাক খাচ্ছে। ঘর থেকে তখন বেরন পরিচারিকা। ওই দুষ্কৃতী সেই সময় তাঁর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। স্বাভাবিকভাবেই চিৎকার করে ওঠেন পরিচারিকা। অভিযোগ, ওই দুষ্কৃতী আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ভয় দেখায় পরিচারিকাকে। চিৎকার করতে বারণ করে। এরপরই পরিচারিকার কাছ থেকে ১ কোটি টাকা দাবি করে দুষ্কৃতী। পরিচারিকা বিপুল টাকা দিতে অস্বীকার করে। তা নিয়ে দুপক্ষের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় শুরু হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, কথা কাটাকাটির শব্দে ঘুম ভেঙে যায় সইফের। তিনি ঘর থেকে বেরিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন। এরপর টার্গেট বদলায় দুষ্কৃতী। কিছু বুঝে ওঠার আগেই অভিনেতার উপর কার্যত ঝাঁপিয়ে পড়ে সে। হাতে থাকা ধারাল অস্ত্র দিয়ে সইফকে এলোপাথাড়ি আঘাত করে। মোট ৬টি জায়গায় গভীর ক্ষত তৈরি হয় অভিনেতার। বাধা দিতে গিয়ে জখম হন অভিনেতার পরিচারিকাও। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে ঘটনাস্থল ছাড়ে দুষ্কৃতী। জানা গিয়েছে, সইফের বান্দ্রার বাড়ির আপৎকালীন সিঁড়ি দিয়ে ঘটনাস্থল ছাড়ে সে। সিসিটিভি ফুটেজও সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে। এদিকে, এই ঘটনার সময় সইফের গাড়িচালক অনুপস্থিত ছিলেন। সে কারণে ইব্রাহিম এবং সারা আলি খানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। খবর পাওয়ামাত্রই সইফের কাছে পৌঁছন তাঁরা। বাবাকে অটো করে হাসপাতালে নিয়ে যান ইব্রাহিম। অস্ত্রোপচারের পর বর্তমানে স্থিতিশীল সইফ।