সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অভিনেতা সইফ আলি খানের (Saif Ali Khan) উপর হামলার পর কেটে গিয়েছে প্রায় ৫০ ঘণ্টা। একাধিক সিসিটিভি ফুটেজে আততায়ীর গতিবিধি নজরে এলেও সে এখনও অধরা। এদিকে মুম্বই পুলিশ একাধিক টিম গঠন করে সইফের বাড়ির সব পরিচারিকা, কর্মীদের জেরা করা শুরু করেছে। খানা তল্লাশি চালানো হচ্ছে পড়শিদের বাড়িতেও। এমতাবস্থায় দুই সন্তানকে আগলে রেখেছেন করিনা কাপুর (Kareena Kapoor)। শুক্রবার সন্ধেয় বাড়িতেই বেবোর বয়ান রেকর্ড করল বান্দ্রা পুলিশ (Bandra Police)। তঁদের কাছে সেই রাতের রোমহর্ষক ঘটনার কথা খুলে বললেন অভিনেত্রী।
করিনা তাঁর বয়ানে জানিয়েছেন, "হামলাকারী মারাত্মক হিংস্র। নিজে চোখে দেখলাম, সইফের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এলোপাথাড়িভাবে একের পর এক কোপ মেরে যাচ্ছে সে। তখন আমাদের একমাত্র লক্ষ্য ছিল সইফকে যত দ্রুত সম্ভবত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া। জেহ তখন ভয়ে থরথর করে কাঁপছে। সইফ দুই সন্তান তৈমুর আর জেহকে বাঁচাতে ঝাঁপিয়ে গিয়েছিল। ওই আক্রমণকারী যখন জেহ অবধি পৌঁছতে পারেনি, লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ার রাগে সইফের উপর এলোপাথারিভাবে ছুরি চালিয়ে দেয়।" বয়ানে করিনার সংযোজন, "হামলার পরই সেখান থেকে পালিয়ে যায় আক্রমণকারী। তবে সইফ সজাগ হওয়ায় আমাদের বাড়ি থেকে কোনও বহুমূল্য জিনিস খোয়া যায়নি।" চোখের সামনে এমন ভয়াবহ ঘটনা দেখে ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন করিনা কাপুর নিজেও। তাই পুলিশের কাছে প্রাথমিক বয়ান রেকর্ডের পর হাসপাতালে সইফকে দেখে সেখান থেকে সোজা দিদি করিশ্মা কাপুরের বাড়ি চলে যান। করিনা জানিয়েছেন, "আমার এই অবস্থা দেখে করিশ্মাই আমাকে ওঁর বাড়িতে নিয়ে যায়।"
ঘটনার পর শুক্রবার সোশাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে মূলত অনুরাগী এবং পাপারাৎজিদের কাছে ব্যক্তিগত পরিসরে হস্তক্ষেপ না করার অনুরোধ জানান। তিনি লেখেন, ‘আপনাদের বাড়তি উদ্বেগ আমার পরিবারের জন্য ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। দয়া করে আমাদের ব্যক্তিগত পরিসরকে সম্মান করুন। আজকের দিনটা আমাদের কাছে প্রচণ্ড চ্যালেঞ্জিং ছিল। এখনও গোটা ঘটনার রেশ বোঝার চেষ্টা করে চলেছি।’ এরপরই বান্দ্রা পুলিশ বাড়িতে গিয়ে করিনা কাপুর খানের বয়ান রেকর্ড করেন। এদিকে নতুন সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, মুম্বইয়ের দাদরের কবুতরখানা এলাকার একটি দোকানের বাইরে মাথা নিচু করে নিজের মোবাইল দেখছে সে। ওই ফুটেজে তাকে একটি হেডফোন কিনতেও দেখা গিয়েছে। পরনে নীল শার্ট, কালো ট্রাউজার। পিঠে ব্যাগ।