সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হামলার ৭০ ঘণ্টা পর গ্রেপ্তার সইফ আলি খানের হামলাকারী! মুম্বই পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার ভোরে মহারাষ্ট্রের থানে এলাকা থেকে তারা গ্রেপ্তার করেছে ওই অভিযুক্তকে। পুলিশ জানিয়েছে, ধরা পড়ার পরও ভুল নাম বলে পুলিশকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছিল সইফের হামলাকারী।
পুলিশ সূত্রের খবর, থানের কাসারভাদালি এলাকায় হীরানন্দানি এস্টেটের কাছে একটি ঝোপের মধ্যে শুয়ে ছিল ওই অভিযুক্ত। ঝোপ জঙ্গলের মধ্যে জড়ো করা শুকনো ঘাসের মধ্যে শুয়ে ছিল সে। পুলিশ জানিয়েছে হামলাকারীর কাছে ধারালো অস্ত্র এবং একটি তোয়ালে উদ্ধার হয়েছে। ধরা পড়ার পরও পুলিশকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছিল। সে পুলিশকে নিজের নাম বিজয় দাস বলে জানাই। পরে স্বীকার করে তার নাম মহম্মদ শরিফুল ইসলাম শেহজাদ।
বৃহস্পতিবার রাতে সইফের উপর হামলা চালানোর পর থেকেই পালিয়ে বেড়াচ্ছিল হামলাকারী। ৭০ ঘণ্টা পর তাকে গ্রেপ্তার করা হল। হামলার কয়েক ঘণ্টা পরই বান্দ্রা স্টেশনে দেখা যায় ওই হামলাকারীকে। কিন্তু পুলিশের চোখ এড়িয়ে মহারাষ্ট্রের বাইরে যেতে পারেনি সে। ধরা পড়ার ভয়ে বারবার নাম বদলে বদলে ব্যবহার করছিল। কখনও বিজয় দাস, কখনও মহম্মদ সাজ্জাদ, কখনও মহম্মদ আলিয়ান নাম ব্যবহার করেছে ওই হামলাকারী। পুলিশ জানিয়েছে, থানের একটি বারে হাউসকিপিংয়ের কাজ করত সে। শোনা যাচ্ছে, আগে সইফের বাড়িতেও কাজ করেছে। যদিও পুলিশ এখনও এ বিষয়ে নিশ্চিতভাবে কিছু জানায়নি।
এর আগে শুক্রবার সইফের হামলাকারী সন্দেহে বান্দ্রা স্টেশন থেকে এক যুবককে আটক করেছিল মুম্বই পুলিশ। তবে প্রাথমিক জেরার পর শাহিদ নামক ওই ব্যক্তিকে ‘নিরাপরাধ’ বলে ছেড়ে দেওয়া হয়। আবার শনিবার হাওড়াগামী জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস থেকে আটক আরও এক সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে। ছত্তিশগড় থেকে গ্রেপ্তার ওই সন্দেহভাজন এখনও হেফাজতেই রয়েছেন।