সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এই প্রথমবার নয়। হামলার আগেও সইফ আলি খানের উপর বান্দ্রার বাড়িতে ঢোকে ধৃত আততায়ী। অভিনেতার বাড়ির হাউসকিপিং সংস্থায় কাজ করত সে। বাড়ি পরিষ্কারের কাজেই ঢুকেছিল দুষ্কৃতী। সেই সুযোগেই সম্ভবত অভিনেতার বাড়ির ভিতরে কোথায়, কী আছে সে সম্পর্কে সম্যক ধারণা ছিল অভিযুক্তের। অতীতের ওই ধারণাকে কাজে লাগিয়েই সম্ভবত আপৎকালীন সিঁড়ি দিয়ে অভিনেতার বাড়ির ভিতরে ঢোকে সে। এরপর অভিনেতার উপর হামলার ঘটনা ঘটে। তবে কী কারণে আততায়ীর টার্গেটে অভিনেতা, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত ১৬ জানুয়ারি সন্ধের কিছুটা পরেই সইফের বিলাসবহুল বাড়ির সামনে আসে দুষ্কৃতী। ঘোরাফেরা করতে শুরু করে। রাতের দিকে খেয়াল করে নিরাপত্তারক্ষী ঘুমিয়ে পড়েছে। সেই সময় লিফটের জন্য একটি ফাঁকা জায়গার সাহায্যে বাড়ির ১১তলায় পৌঁছয়। সেখানেই ছিল অভিনেতার সন্তানদের ঘর। ওই ঘরের পাশেই ছিল শৌচালয়। সেখানেই প্রথমবার জে-র দেখভালের দায়িত্বে থাকা পরিচারিকার সঙ্গে মুখোমুখি হয় আততায়ী। আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে ভয় দেখিয়ে চুপ করায় সে। পরিচারিকার থেকে ১ কোটি টাকা দাবি করে। বাদানুবাদ হওয়ার ফাঁকে সইফ দৌড়ে আসে। তারপর ছুরি দিয়ে আঘাত করে দুষ্কৃতী।
পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার দিন প্রথমে সে ওরলি আসে। থানে থেকে ট্রেনে ওঠে। সেখানে বাইকে চড়ে এক যুবক আসে। ওই বাইকের নম্বরের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ বলছে, ওই হামলাকারীর কাছে এমন কিছু তথ্য পাওয়া গিয়েছে যা ইঙ্গিত করে সে আসলে বাংলাদেশি। ধরা পড়ার পরও ভুল নাম বলে পুলিশকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছিল। সবচেয়ে চমকপ্রদ বিষয় হল, ওই হামলাকারী ভারতের নাগরিকত্ব প্রমাণ করার মতো কোনও নথি দেখাতে পারেনি।