সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অভিনেতা সইফ আলি খানের উপর হামলার পর কেটে গিয়েছে প্রায় ৫০ ঘণ্টা। তবে এখনও অধরা আততায়ী। অভিনেতার বাড়িতে হামলার পর যে সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে এসেছিল, তাতে দুষ্কৃতীকে নীল রংয়ের টি-শার্ট পরা অবস্থায় দেখা গিয়েছিল। শনিবার পুলিশের তরফে আরও একটি ছবি প্রকাশ করা হয়। নতুন এই ছবিতে দেখা গিয়েছে দুষ্কৃতীর পরনে হলুদ রংয়ের শার্ট। শেষবার বান্দ্রা স্টেশনে হদিশ পাওয়া গিয়েছে আততায়ীর। তাই প্রাথমিকভাবে তদন্তকারীদের অনুমান, পুলিশের চোখে ধুলো দিতে সম্ভবত হামলার পর পোশাক বদল করে। তারপর বান্দ্রা স্টেশন থেকে ট্রেনে ওঠে।
সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরে আততায়ীর খোঁজ চালাচ্ছে তদন্তকারীরা। কোমর বেঁধে নেমেছে বান্দ্রা থানার পুলিশ। ইতিমধ্যে ৩৫টি টিম গঠন করা হয়েছে। মুম্বই নাকি অন্যত্র কোথাও পালিয়ে গিয়েছে দুষ্কৃতী, সেটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় মহারাষ্ট্রের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বড়সড় প্রশ্নচিহ্নের মুখে। রাজনৈতিক মহলেও তা নিয়ে চলছে জোর চাপানউতোর।
বলে রাখা ভালো, গত ১৫ জানুয়ারি, রাত ১টা ৩৭ নাগাদ সইফের বান্দ্রার বাড়ির আপৎকালীন সিঁড়ি দিয়ে ভিতরে ঢোকে এক দুষ্কৃতী। সেই সময় তার মুখ কাপড়ে ঢাকা ছিল। পিঠে বড় ব্যাগ। পরনে টি-শার্ট এবং জিন্স। অভিনেতার ছোট ছেলে জে-র ঘরের কাছে চলে যায়। ওই ঘর লাগোয়া শৌচালয়ের সঙ্গে কারও ছায়া দেখতে পান পরিচারিকা। সন্দেহের বশে তিনি ঘর থেকে বেরতেই দুষ্কৃতী হামলার শিকার হন। দুষ্কৃতী হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে ১ কোটি টাকা দাবি করে বলেই অভিযোগ। টাকা দিতে অস্বীকার করায় বাদানুবাদ হয়।
ইতিমধ্যে পাশের ঘরে থাকা সইফের ঘুম ভেঙে যায়। তিনি দৌড়ে আসলে দুষ্কৃতী সইফের উপর হামলা করে। ৬ বার ছুরি দিয়ে অভিনেতার উপর হামলা চালানো হয়। এরপর ওই দুষ্কৃতী একটি ঘরে তাঁদের বন্ধ করার চেষ্টা করে বলেও অভিযোগ। আরও এক পরিচারিকা ঘটনাস্থলে চলে আসায় আর তা সম্ভব হয়নি। এভাবেই প্রায় ৫৫ মিনিট কেটে যায়। তারপর আবার আপৎকালীন সিঁড়ি দিয়ে বেরিয়ে যায় সে। সেই সময় অবশ্য মুখ ঢাকা ছিল না আততায়ীর। রক্তাক্ত অবস্থায় সইফকে লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আপাতত বিপন্মুক্ত অভিনেতা।