সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রায় মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরেছেন সইফ আলি খান (Saif Ali Khan)। মঙ্গলবারই লীলাবতী হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে 'সদগুরু শরণে' ফিরেছেন তিনি। সেই সূত্রে বাড়িতেও এখন আনন্দের জোয়ার। নিরাপত্তা আরও জোরদার হওয়ার পাশাপাশি আলোর রোশনাইয়ে ঢেকেছে সইফ-করিনার বাংলো। দেখে মনে হবে যেন অকাল দীপাবলি। বেবো বারংবার বারণ করা সত্ত্বেও ফটোশিকারিদের আতসকাচ থেকে বাদ যায়নি 'সদগুরু শরণ'।
এবার সেই পাপারাজ্জিদের লেন্সেই ধরা পড়ল সইফ-করিনার ১২ তলা বাড়ি কীভাবে আলোয় সেজে উঠেছে। নবাব বাড়ি আনন্দেই যে এহেন উদ্যোগ, তা আর বুঝতে বাকি থাকেনি কারও। এদিকে সইফ আলি খানের শ্যালিকা তথা অভিনেত্রী করিশ্মা কাপুরের মন্তব্য, "শুধু ইতিবাচক ভাবনাচিন্তা ঘিরে থাকুক।" বাড়িতে সেই পজিটিভ ভাইব আনতেই সম্ভবত সইফিনার বাড়িতে অকাল দীপাবলি। 'সদগুরু শরণে'র ছবি-ভিডিও ইতিমধ্যেই নেটপাড়ায় দাবানল গতিতে ভাইরাল। মঙ্গলবার প্রথমটায় যদিও শোনা গিয়েছিল, নিরাপত্তার কারণে বেবো সইফকে নিয়ে 'সদগুরু শরণে' ফেরেননি। বরং তাঁদের বান্দ্রার পুরনো বাড়িতে গিয়েছেন। তবে বুধবার বিকেলে সেই ভুল ভাঙে সইফ-করিনার ১২ তলার 'সদগুরু শরণে'র আলোকসজ্জা দেখে।
গত বুধবার গভীর রাতে নিজের বাড়িতে দুষ্কৃতীর ছুরির আঘাতে যেভাবে হামলার মুখে পড়েছিলেন শর্মিলাপুত্র, তাতে তাঁর বড়সড় শারীরিক সমস্যা হতে পারত। অল্পের জন্য তা থেকে বেঁচেছেন। মেরুদণ্ডের নিচে ছুরির একাংশ গেঁথে গিয়েছিল। আঘাত লেগেছিল হাতে ও শরীরের অন্যান্য জায়গায়। পরেরদিনই লীলাবতী হাসপাতালে জটিল অস্ত্রোপচার হয় তাঁর। আঘাতের মোকাবিলা করে দ্রুত শারীরিক অবস্থার উন্নতিও হয় 'ছোটে নবাব'-এর। চিকিৎসকরা তা দেখে আগেই জানিয়েছিলেন, মঙ্গলবার তিনি হাসপাতাল থেকে ফিরতে পারেন। তবে দাদা সইফ এবং দুই ভাইপো জেহ-তৈমুরের প্রাণ বাঁচানোর জন্য সাবা আলি খান আসল কৃতীত্ব দেন খুদেদের ন্যানিকে। তাঁদের ছবি শেয়ার করে 'আনসাং হিরো' বলেও সম্বোধন করেন। সাবার মন্তব্য, "আমাদের বাড়ির সেই উপেক্ষিত নায়করা। যাঁরা কঠিন মুহূর্তে নিজেদের সবটা দিয়ে কর্তব্যপরায়ণ থেকে আমার ভাইয়ের জীবন বাঁচিয়েছেন। এঁরা দুজন প্রকৃত অর্থেই আমাদের হিরো।"