সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতীয় বিনোদুনিয়ার মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল পঞ্চাশ বছর আগে রমেশ সিপ্পির ছবি 'শোলে'। কালজয়ী এই ছবি আজও সকলের মনে প্রথমদিনের মতোই দাগ কাটে। চলতি বছরে এই ছবির সুবর্ণ জয়ন্তী। সম্প্রতি কলকাতার বুকে ৩১তম আন্তর্জাতিক কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে ছবি নিয়ে নান জানা-অজানা কথা ভাগ করে নিয়েছেন পরিচালক রমেশ সিপ্পি। এবার ছবির ৪কে ভার্সন মুক্তি পাবে সারা দেশ জুড়ে।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমসূত্রে জানা যাচ্ছে, আগামী ১২ ডিসেম্বর সারা দেশের মোট ১৫০০টি সিনেমাহলে মুক্তি পাবে 'শোলে' ছবির আনকাট ভার্সন। রমেশ সিপ্পি পরিচালিত এই ছবিটিতে অমিতাভ বচ্চন, ধর্মেন্দ্র, হেমা মালিনী, আমজাদ খানকে আজও ভোলেননি অনুরাগীরা। সে সময়েও সেন্সর বোর্ডের কাঁচিতে খানিকটা ক্ষতবিক্ষত হতে হয়েছিল ছবিটিকে। বাদ পড়েছিল একাধিক দৃশ্য। ঠিক যেমন ছবির গল্পে গব্বর সিং রহিম চাচার ছেলে আহমেদকে খুন করে। আনকাট ভার্সানে সে দৃশ্যে আমজাদ খান মাটিতে শচীনের গলা চেপে ধরেছিলেন। নৃশংসতার কারণ উল্লেখ করে সেন্সর বোর্ডের কাঁচিতে তা বাদ পড়ে। সে সব কিছুই নাকি থাকবে এই ছবির আনকাট ভার্সনে।
এর আগে চলতি বছরেই ছবির পঞ্চাশ বছর উদযাপন উপলক্ষে টরোন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছে 'শোলে'। যদিও এর আগে এই ছবি ঘিরে এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই অত্যন্ত পর্দার জয় ও বীরু। অমিতাভ বচ্চন বলেন, “সেই সময় বুঝতে পারিনি ভারতীয় সিনেমার এমন মোড় ঘোরানো ছবি এটি। শোলে যেন নাটকীয়ভাবে সবকিছু বদলে দিয়েছিল। আমার আশা ৫০ বছর পরেও গোটা বিশ্বে নতুন দর্শকদেরও মন পাবে শোলে।” ধর্মেন্দ্রও সমান উচ্ছ্বসিত। তিনি বলেন, “শোলে যেন বিশ্বের অষ্টম আশ্চর্য। আবার ছবিটি প্রদর্শিত হবে শুনেই আমি উত্তেজিত। কে ভুলবেন সেলিম-জাভেদের সেই সংলাপ কিংবা রমেশ সিপ্পির পরিচালনা? বেশিরভাগ দৃশ্য ভারতীয় সিনেমায় ইতিহাস তৈরি করেছিল। প্রতিটি চরিত্রই যেন হয়ে উঠেছিল সমান গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আসল হিরো হল সেই কয়েনটি। ট্যাঙ্ক, মন্দিরের দৃশ্য আমার সবচেয়ে প্রিয়। এছাড়া আরও অনেক দৃশ্য রয়েছে।”
